কে-পপ ঘরানার গান এখন কেবল কোরিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্বব্যাপী এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। এশিয়া মহাদেশের অনেকেই তাদের মতো হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ভারতের তরুণ শিল্পী আরমান মালিকেরও একই ধাঁচের ‘ইকো’ শিরোনামে গানটি সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশ হয়েছে। 

‘ইকো’ প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যেই এর ভিউ এক কোটি ছাড়িয়ে গেছে। আরমান মালিকের আগে প্রকাশ হওয়া ‘কন্ট্রোল’ গানটির দর্শক সংখ্যাও এখন ৩ কোটির কাছাকাছি। 

ইউটিউবের সুপারহিট গান ‘ইকো’ নিয়ে সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আরমান মালিক। তিনি বলেন, এশিয়া মহাদেশের সঙ্গীতশিল্পীদের জন্য বিশ্বায়নের ফ্লাডগেট খুলে দিয়েছে কোরিয়ার জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস। 

তিনি আরও জানান, তার ক্যারিয়ারে সফলতার পেছনে কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএসের অবদান রয়েছে। 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই সপ্তাহ আগে ‘ইকো’ গানটি প্রকাশ হয় এবং এখন অবধি ইউটিউবে বহুবার এটি দেখেছেন দর্শকরা। আরমান বলেন, ‘করোনা মহামারির আগেই ভারতীয় বংশোদ্ভুত যুক্তরাষ্ট্রের গীতিকার ও সুরকার নাইলস হলোওয়েল ধর বা ক্যাজমিরের সঙ্গে আমার লস অ্যাঞ্জেলসে দেখা হয়। সেখানেই আমরা এ গানের পরিকল্পনা করি। তবে ক্যাজমির তখনও গানটি ইউটিউবে প্রকাশ করেননি। এরিকের সঙ্গেও আমি গানটি নিয়ে আলোচনা করেছি। এ গানের জন্য আমরা দুজন দুই মাস পরিশ্রম করি।’

আরমান আরও বলেন, ‘শ্রোতারা সবসময় একই ধরনের গান শুনতে চায় না। সে কারণে শিল্পীদের কাছে তারা নতুন কিছু আশা করে। কিন্তু নতুন কিছু করতে গেলে আমাদের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। কারণ ভক্তরা চাইলে আপনাকে পছন্দের তালিকা থেকে বাদ দিতে পারে।’ 

গান লেখার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গান লেখার জন্য নির্দিষ্ট কোনো প্রক্রিয়া আমি অনুসরণ করি না। প্রতিটি ভাষা ও ধরনের আলাদা একটা ছোঁয়া আছে। তবে আমি আগে সুর তৈরি করি। পরে এর ওপর শব্দ বসানো শুরু করি।’ 

আরমান মালিক খ্যাতি অর্জনের পেছনে অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর কথাও স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘অ্যাপল মিউজিক, স্পটিফাই, ইউটিউব মিউজিক, অ্যামাজন মিউজিক- এগুলোর কারণে ভারতের অনেক শিল্পীই বিশ্বের মানুষের কাছে খ্যাতি পেয়েছেন।’

এইচএকে/আরআইজে/এমআরএম