বিচারব্যবস্থাকে অপমানের অভিযোগে ‘জলি এলএলবি ৩’র মুক্তি স্থগিত!
বলিউডের জনপ্রিয় লিগ্যাল-কমেডি ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘জলি এলএলবি’ এবার উঠলো আদালতের কাঠগড়ায়! পুণের এক দেওয়ানি আদালত নোটিস পাঠিয়েছে অভিনেতা অক্ষয় কুমার, আরশাদ ওয়ার্সি এবং পরিচালক সুভাষ কাপুরকে।
অভিযোগ— আসন্ন ছবি জলি এলএলবি ৩-এ আদালত এবং বিচারব্যবস্থাকে কটাক্ষ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এই মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী ওয়াজেদ রহিম খান। তার অভিযোগ—ছবির একাধিক দৃশ্যে আইনজীবী এবং বিচারকেদের হেয় করা হয়েছে। বিশেষ করে যেখানে বিচারকদের “মামা” বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই সংলাপকে তিনি আদালতের মর্যাদাহানিকর বলে দাবি করেছেন।
ওয়াজেদ খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আইনজীবীদের সম্মান থাকা উচিত। কিন্তু ছবিতে যা দেখানো হয়েছে, তা একেবারেই ভুল। তাই আমি আদালতের দ্বারস্থ হই।
বিজ্ঞাপন
পুণের আদালত আগামী ২৮ অক্টোবর সকাল ১১টায় উল্লিখিত তিনজনকে ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
মামলাটির সূত্রপাত ২০২৪ সালে, ছবির টিজার প্রকাশের পর। আদালতের নোটিসের আগে আজমির জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চন্দ্রভান সিং রাঠোর বলেছেন, “জলি এলএলবি’ সিরিজের পূর্ববর্তী অংশগুলো বিচার ব্যবস্থার মর্যাদা সম্মান করেনি। ছবির নির্মাতা, পরিচালক ও অভিনেতারা দেশের সংবিধানের বিচার বিভাগের মর্যাদাকে মোটেও সম্মান করেন না।”
রাঠোর আরও অভিযোগ করেছেন, ছবির শুটিং চলাকালীন অভিনেতাদের আচরণও অসাংযমপূর্ণ ছিল। শুটিং চলছে আজমিরের ডিআরএম অফিস ও আশেপাশের গ্রামাঞ্চলে, যা কয়েক দিন চলবে।
ফ্র্যাঞ্চাইজির ইতিহাসে, ২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল প্রথম ‘জলি এলএলবি’, যা মাত্র ১০ কোটির বাজেটে প্রায় ৫০ কোটি আয় করেছিল। ২০১৭ সালে মুক্তি পায় সিক্যুয়েল, যেখানে নায়ক ছিলেন অক্ষয় কুমার, এবং ছবিটি বিশ্বজুড়ে ২০০ কোটিরও বেশি আয় করে ব্লকবাস্টার হয়।
এই ছবিতে প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছেন অক্ষয় ও আরশাদ। পরিচালনা করছেন সুভাষ কাপুর এবং প্রযোজনা করছে স্টার স্টুডিও ১৮। ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫। তবে আদালতের নোটিসের পর, মুক্তি তাড়াহুড়োতে সম্ভব কিনা তা নিয়ে শোরগোল আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এনএইচ