ভারতের আলোচিত মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন সুপারস্টার শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। মঙ্গলবার ওই ঘটনায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে এ ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। 

ঘটনার শুরু রোববার একটি প্রমোদতরীতে। সেখানে একটি পার্টি থেকে গ্রেফতার হন শাহরুখপুত্রসহ আট জন। মুম্বাই পুলিশ বলছে, ওই পার্টির জন্য তাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতিও নেওয়া ছিল না আয়োজকদের। আবার মহামারির মধ্যে কোভিড বিধি কতটা মানা হয়েছে সে সন্দেহ থেকেও করা হয়েছে মামলা।  

মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তা বলছেন, প্রমোদতরীটি কেন মুম্বই থেকে গোয়া যাচ্ছিল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন তারা। এ বিষয়ে তারা কথা বলছেন প্রমোদতরীটির সংস্থা, সংশ্লিষ্ট ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা এবং মুম্বই পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। 

এই কর্মকর্তার কথায়, কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে এখন বিপর্যয় মোকাবিলা আইন চালু রয়েছে। মুম্বাইসহ গোটা রাজ্যে যেকোনো অনুষ্ঠান বা পার্টির জন্য পুলিশের অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। কিন্তু এই প্রমোদতরীটির জন্য সে ধরনের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। অনুমতি ছাড়া পার্টির আয়োজন করে মহামারি আইনের ১৮৮ নম্বর ধারা ভাঙা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করছি আমরা। 

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে মহারাষ্ট্রে এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ফলে সেখানে আইন অনুযায়ী বর্তমানে পাঁচ বা তার বেশি ব্যক্তির জমায়েত নিষিদ্ধ।  

গ্রেফতার হওয়া আরিয়ানরা আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তা খারিজ হয়েছে। 

এদিকে এ পরিস্থিতিতে শাহরুখ খানের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজনীতিক থেকে শুরু করে বলিউডের অনেক তারকা। কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর টুইটে লিখেছেন, একটি ২৩ বছরের ছেলের সঙ্গে যে আচরণ করছে সংবাদমাধ্যম, তা সমর্থনযোগ্য নয়। 

বিজ্ঞাপন বিশেষজ্ঞ প্রহ্লাদ কক্কর বলেছেন, আরিয়ান খান প্রাপ্তবয়স্ক। যদি তিনি মাদক সেবন করে থাকেন, সেটার তদন্ত হবে। সংবাদমাধ্যম নিজেদের টিআরপি বাড়াতে এই মামলায় বারবার শাহরুখ খানের নাম জড়াচ্ছে।  

আবার আরিয়ানকে যেদিন গ্রেফতার করা হয়, সেদিনই শাহরুখদের বাড়ি গিয়েছিলেন সালমান খান। শাহরুখ-গৌরীকে দীপিকা পাড়ুকোন ও আনুষ্কা শর্মা ফোন করেছেন বলেও খবর দিচ্ছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম। 

এনএফ