কৃষি আইনের পক্ষে ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। তবে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ। প্রকাশ্যেই রাগ দেখিয়েছেন।

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘তবে কী এবার রাস্তায় নামা মানুষই দেশের আইন ঠিক করবে। নির্বাচিত সরকার নয়? যদি তা-ই হয় তবে এই দেশটাও তো জিহাদি দেশ হয়ে গেল।’

কঙ্গনার মনে করেন, এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না।

শুক্রবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, কৃষকদের স্বার্থে তিনি বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঘটনাচক্রে এদিন ছিল দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস নেত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিন। যার ভূমিকায় একটি ছবিতে অভিনয়ও করেছেন কঙ্গনা।

মোদির সিদ্ধান্তে প্রকাশ্যেই আপত্তি জানিয়ে কঙ্গনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘দেশের মানুষের যদি বোধ না থাকে তবে তাদের লাঠি দিয়েই শাসন করতে হবে। এ দেশে সেটাই একমাত্র সমাধান এবং একনায়কতন্ত্রই সেরা বিকল্প।’

এছাড়াও ইন্দিরার ছবি দিয়ে কঙ্গনা লিখেছেন শুভ জন্মদিন ‘ম্যাডাম প্রাইম মিনিস্টার’।

কৃষি আইন নিয়ে অবশ্য প্রথম থেকেই সরব ছিলেন কঙ্গনা। কৃষকদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে বহুবার মন্তব্যও করেছেন। এই নিয়ে দেশের বহু তারকার সঙ্গে প্রকাশ্যেই টুইট যুদ্ধ হয়েছে তার। এমনকি যেসব বিদেশি ভারতের কৃষকদের সমর্থন করে নেট মাধ্যমে লিখেছিলেন তাদেরও কুরুচিকর আক্রমণের অভিযোগ ওঠেছিল কঙ্গনার বিরুদ্ধে।

একটি টুইটে আমেরিকার পপ তারকা রিহানাকে পর্ণ ছবির গায়িকা বলে মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। সেই মন্তব্যের জেরে টুইটার কঙ্গনার অ্যাকাউন্টটি ব্লক করে দেয়। আজও টুইটারে অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্টটি নিষিদ্ধ রয়েছে।

এমএইচএস