মাদক সংক্রান্ত একটি সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনা চলছিল রাজ্যসভায়। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) ওই আলোচনার সময় মেজাজ হারান সমাজবাদী পার্টির সংসদ সদস্য জয়া বচ্চন।

রেগে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি অভিশাপ দিচ্ছি। আজ থেকে সরকার (বিজেপি)-এর খারাপ দিন শুরু।’ ঘটনাচক্রে পানামা মামলায় সোমবারও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে জয়ার পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে।

ট্রেজারি বেঞ্চের সঙ্গে জয়ার বাদানুবাদের জেরেই সোমবার উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। ১২ জন সংসদ সদস্যকে শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড করার মতো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন অভিনেত্রী-সংসদ সদস্য জয়া। তার অভিযোগ, এসব নিয়ে বিতর্ক চলাকালে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণও করা হয়েছে। এরপরই চটে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কক্ষের ভেতরে কীভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হতে পারে? বুঝতেই পারছি, সহকর্মীদের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই আপনাদের। আমি অভিশাপ দিচ্ছি। আজ থেকে সরকারের খারাপ দিন শুরু।’

এরপর ট্রেজারি বেঞ্চকে কটাক্ষ করে চেয়ারপারসন ভুবনেশ্বর কলিতাকেও আক্রমণ করেন তিনি। জয়ার অভিযোগ, বিরোধীদের বক্তব্য শোনা বা তাদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে কোনোরকম পদক্ষেপ নেননি চেয়ারপারসন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমরা বিচার চাই। ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে আমরা তা আশাও করি না। এ কক্ষ ও কক্ষের বাইরে যারা বসে আছেন, তাদের স্বার্থ কীভাবে রক্ষা করছেন আপনি?’

সংসদের বাইরে বেরিয়ে জয়া বলেন, ‘আমি কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। ওরা যা বলেছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। ওরা যেভাবে কথা বলেছেন, সেভাবে কথা বলা উচিত হয়নি। সেজন্য আমি অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছিলাম।’

বিদেশে প্রচুর সম্পত্তি রাখার অভিযোগে বিদেশি মুদ্রা আইন (ফেমা)-এ জয়া-অমিতাভ বচ্চনের পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়াকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ইডি দফতরে। সোমবার দুপুরের দিকে তিনি সেখানে পৌঁছান। সন্ধ্যার পর ইডি দফতর থেকে বের হন ঐশ্বরিয়া। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে তিনি সম্পদ গচ্ছিত রেখেছেন। অভিযোগ, কর ফাঁকি দেওয়ার জন্যই এমন করেছেন ঐশ্বরিয়া।

এসএসএইচ