নায়কের সাফল্যের নেপথ্যে গায়কের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। অভিনেতা-গায়কের এই রসায়ন অনেক পুরনো। তেমনি বাপ্পি লাহিড়ী মানে মিঠুন চক্রবর্তী। তাইতো প্রখ্যাত এ সংগীত শিল্পীর প্রয়াণের গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। 

মিঠুন বলেছেন, নিষ্প্রাণ বাপ্পি দাকে আমি দেখতে চাইনি। যেভাবে আমি তাকে চিনতাম, সেভাবেই মনে রাখতে চাই।

তিনি জানান, বাপ্পি লাহিড়ী ও তার সমীকরণ আইকনের পর্যায় পৌঁছেছিল তার কারণ, বাপ্পি লাহিড়ী বুঝেছিলেন মিঠুন নতুন ধরনের নাচ করতে পারেন। মিঠুনের ভাষায় যাকে বলে, ‘হটকে’!

মাত্র ৬৯ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের ‘ডিস্কো কিং’ বাপ্পি লাহিড়ী। বাপ্পি লাহিড়ীর তৈরি ‘আই অ্যাম আ ডিস্কো ডান্সার’ কে ভুলতে পারেন! কেবল এই গান নয়, মিঠুন নেচেছেন বাপ্পির তৈরি ‘কসম পেয়ার করনে ওয়ালো কি’, ‘জিন্দেগি মেরি ডান্স ডান্স’, ‘জিম্মি জিম্মি’ গানের সঙ্গেও।

পিটিআইকে মিঠুন বলেছেন, বাপ্পি দা আমার নাচের ধরনকে বুঝতেন। ডিস্কো ডান্সে নতুন কিছু করতে পারি, সেটি তিনি বুঝেছিলেন। তিনি মনে করতেন, আমি ‘হটকে’ কিছু করতে পারি। সেই মতো সংগীত তৈরি করতেন বাপ্পি দা। তখন থেকেই আমাদের সম্পর্ক জুড়ে যায়। আমরা এক হয়ে যাই। কিছু কালজয়ী নাচ ও গান তৈরি করেছি আমরা।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে মৃত্যু ঘটেছে বাপ্পি লাহিড়ীর। তেমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসক। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ বাপ্পি লাহিড়ী প্রয়াত হন মুম্বাইয়ের হাসপাতালে। সেই সময় বেঙ্গালুরুতে ছিলেন মিঠুন। বলেছেন, নিষ্প্রাণ বাপ্পি দাকে আমি দেখতে চাইনি। যেভাবে আমি তাকে চিনতাম, সেভাবেই মনে রাখতে চাই। এই বাপ্পি দাকে আমি চিনতে চাইনি। প্যান্ডেমিকের সময় আমার বাবা যখন চলে গেলেন, তাকেও আমি ওরকমভাবে দেখতে চাইনি। তাই আসিনি। একই ভাবে বাপ্পিদাকেও ওভাবে আমি দেখতে চাইনি।

এসকেডি