ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘অনন্ত ভালোবাসা’ মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালের ২৮ মে। যেটির পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। সিনেমাটির মুক্তির হিসেব অনুযায়ী আজ শনিবার (২৮ মে) ক্যারিয়ারের ২৩ বছর পূর্ণ করে দুই যুগে পা দিয়েছেন ঢালিউড কিং খান।

ক্যারিয়ারের দুই যুগে পদার্পণের বিশেষ এই দিনে নিজের ফেসবুক পেজে একটি বার্তা দিয়েছেন শাকিব। যেখানে ক্যারিয়ারের নানান চড়াই উতরাইয়ের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। ধন্যবাদ দিয়েছেন পরিচালক, প্রযোজক, সহশিল্পী এবং ক্যামেরার পেছনে থাকা কলাকুশলীদের। স্মরণ করেছেন ভক্তদের ভালোবাসার কথাও।

শাকিব তার পোস্টে লেখেন, ‘শুরুতে জানতাম না আমার ক্যারিয়ার কোন দিকে যাচ্ছে। প্রথমদিকে আমার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোও খুব বেশি সাফল্য পায়নি, তারপরও হাল ছাড়িনি। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি, ব্যর্থতাকে সাফল্যের মতো প্রাধান্য দিয়েছি।’

শাকিব খান

কাজের প্রতি নিজের কঠোর পরিশ্রম, আন্তরিকতা এবং সততার কথাও তুলে ধরেন এই অভিনেতা। লেখেন, ‘আমি সবসময় কঠোর পরিশ্রম, কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও সততায় বিশ্বাসী। হয়তো এ কারণেই আজ এই অবস্থানে পৌঁছেছি। আমি আনন্দিত এই ভেবে যে, আমার কাজের মাধ্যমে মানুষকে বিনোদিত করতে পেরেছি এবং তাদের খুশি করতে পেরেছি।’

যাদের সহযোগিতায় এতদূর এসেছেন তাদেরও ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি শাকিব। তার ভাষায়, ‘অভিনয় জীবনে আজ পর্যন্ত যেসব পরিচালক, প্রযোজক, সহশিল্পী এবং ক্যামেরার পেছনে থাকা কলাকুশলীর সঙ্গে কাজ করেছি সবাইকে ধন্যবাদ। আমার ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে তাদের অবদান অসামান্য! বিশেষভাবে আমি আমার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ; যারা আমার সকল শক্তি ও অনুপ্রেরণার উৎস, তারা আমাকে এতোগুলো বছর ভালবাসা এবং সম্মান দিয়ে যাচ্ছে। আমার পরিবারের কাছেও কৃতজ্ঞ, তাদের চিরস্থায়ী সমর্থনের জন্য। সবার জন্য হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।’

উল্লেখ্য, শাকিব খানের প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি চাকরীজীবী। মা গৃহিণী। তারা এক ভাই ও এক বোন। শাকিব খানের ইচ্ছে ছিল ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। মনের অজান্তেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক চলে আসে তার। এরপর দর্শকের ভালোবাসা, বিনোদনের প্রতি নিজের ভালোলাগা, সবকিছু মিলিয়েই তিনি অভিনয়ে নিয়মিত হন। নিজের যোগ্যতা আর অভিনয় গুণে ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক।

আরআইজে