বাগেরহাটের আঞ্চলিক ভাষায় সিনেমা নির্মাণ করেছেন তরুণ নির্মাতা সাজ্জাদ খান। ‘সাহস’ নামের এই সিনেমা দিয়ে অভিষেক ঘটছে তার। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত ৮টায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি। যেখা যাবে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে।

বাগেরহাটের নীলা-রায়হানের প্রেমের গল্প নিয়ে এই সিনেমা। আচমকা ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় তাদের সম্পর্ক। ঘুরে যায় জীবনের কম্পাস। তবুও দমে না তারা। বুকে সাহস নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়, লড়াই করে প্রাণপণ।

এতে রায়হান চরিত্র দেখা যাবে মোস্তাফিজ নুর ইমরানকে। তার বেড়ে ওঠা, শৈশব, কৈশোর সব কেটেছে বাগেরহাটেই। সিনেমাটি নিয়ে তার আবেগের জায়গাটা একটু ভিন্ন। 

অভিনেতা বলেন, ‘বাগেরহাট আমার নিজের শহর। অভিনেতা হিসেবে যদি বলি, এই শহরের হেঁটে-চলে অভিনয় করাটা আমার জন্য খুব উপভোগ্য ছিল। বাগেরহাটের মানুষ কখনও শুটিং দেখেনি, তার উপর আবার সিনেমা। গোটা শহরের মানুষ শুটিং দেখে খুব মজা পেয়েছে। সব মিলিয়ে কাজটি করতে গিয়ে অনেক এনজয় করেছি।’

সিনেমায় ইমরানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা। তিনি বলেন, ‘আমি বাগেরহাটে গিয়ে জানতে পারি সেখানকার লোকাল ভাষায় শুটিং হবে। প্রথমে বেশ ভয়ই পেয়েছি। কিন্তু সবার সহযোগিতায় কাজটা শেষ করেছি। জানি না দর্শকের কতটুকু ভালো লাগবে তবে আমি চেষ্টা করেছি।’

নির্মাতা সাজ্জাদ খান বলেন, ‘একদিন রাতে ইমরানের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতে পরিকল্পনা হয় সিনেমাটির। তারপরই তো সাহস নিয়ে বানিয়ে ফেললাম। দর্শক সিনেমাটি কীভাবে গ্রহণ করেন এখন সেটা জানার অপেক্ষায় আছি।’

ইমরান-অর্ষা ছাড়াও সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন একঝাঁক নতুন অভিনেতা। যাদের বেশিরভাগই বাগেরহাটের স্থানীয়। তারা হলেন খালিদ মাহবুব তূর্য, শাফিন সানি, রাজেশ সেন, রিজিয়া পারভীন, বাবুল রহমান, সাহেদ রানা, ইমরান হোসাইন ফার্সি প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, গেল বছরের জুনে গালাগালি, কিশোর গ্যাঙ, পুলিশের ব্যবহার ঠিকমতো হয়নি—এমন কারণ দেখিয়ে সিনেমাটি ‘প্রদর্শনযোগ্য নয়’ বলে মতামত দেয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। পরে একাধিক সংশোধনের পর সিনেমাটি সেন্সর ছাড়পত্র পায়।

আরআইজে