গত রোজার ঈদে মুক্তি পেয়েছিল শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘গলুই’। এস এ হক পরিচালিত এই সিনেমা দারুণ সাড়া পেয়েছিল তখন। এবার সিনেমাটি প্রদর্শিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। বায়স্কোপ ফিল্মসের পরিবেশনায় দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মাসব্যাপী দেখানো হবে সিনেমাটি।

দেশের বিনোদন জগতের অনেক তারকা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসতি গড়েছেন। তাদের একজন টনি ডায়েস। একসময়ের জনপ্রিয় এ অভিনেতা এখন ইউটিউবে কবিতা নিয়ে কাজ করেন। ভিনদেশের সিনেমা হলে বসে তিনি উপভোগ করেছেন শাকিব খানের ‘গলুই’। এরপর মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন ফেসবুকে।

টনি ডায়েস বলেছেন, “বিদেশে কোনো মুভি থিয়েটারে বসে বাংলাদেশের সিনেমা দেখার অন্যরকম ভালোলাগার অনুভূতি থাকে। সিনেমা আমার কাছে অন্ধকার একটি ঘরে স্বপ্ন দেখার মতো মনে হয়। কখনও সেটায় বাস্তবতার ছোঁয়া থাকে, কখনও অবাস্তবও হতে পারে। কাল দেখলাম বাংলাদেশের সিনেমা শাকিব খান অভিনীত ‘গলুই’। পরিচালনায় এস এ হক অলিক। স্বপ্নটা ভালো দেখিয়েছেন পরিচালক।”

সিনেমাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রশংসা করে টনি ডায়েস বললেন, ‘সিনেমা তো আসলে টিম ওয়ার্ক। সবাই ভালো করলেই ভালো সিনেমার সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকেই যে যার স্থান থেকে ভালো কাজ করেছেন। পরিচালককে সাধুবাদ দিতে হয়, অনেক ভালো শিল্পীর সমাবেশ এই সিনেমাতে করেছেন। শাকিবের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছি। নিজেকে ভাঙার চেষ্টা করেছেন। এ ভাঙাটা যদি আরও বেশি করে চালিয়ে যান, তাহলে আমার বিশ্বাস শাকিবের ক্যারিয়ারে আরও চ্যালেঞ্জিং চরিত্র যোগ হবে। যা দেখার জন্য সব শ্রেণির দর্শক অপেক্ষায় আছেন। পূজার অভিনয় বেশ ভালো লেগেছে। অনেকদিন পর সুচরিতাকে পর্দায় দেখলাম। মন জুড়িয়ে দিয়েছেন অভিনয় দিয়ে।’

টনি ডায়েসের স্ট্যাটাস

‘গলুই’ সিনেমার চিত্রায়ন ও সাউন্ড নিয়েও প্রশংসা করেছেন টনি ডায়েস। তার ভাষ্য, ‘আমি সাউন্ড আর সিনেমাটোগ্রাফির কোয়ালিটিতে কখনই কম্প্রোমাইজ করতে পছন্দ করি না। সিনেমার পর্দাটা কিন্তু শুধু অভিনয় নয়, চোখে দেখা আর কানে শোনার ব্যাপারটাও জড়িত। আমার মন কেড়ে নিয়েছে সিনেমাটির আবহ সংগীত, গানগুলো, আর তার সাউন্ড কোয়ালিটি। সিনেমাটোগ্রাফিও চমৎকার ছিল।’

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের কাছে টনি ডায়েস অনুরোধ করেছেন, যেন পাশের সিনেমা হলে গিয়ে দেশের ‘গলুই’ দেখেন।

উল্লেখ্য, সরকারি অনুদান প্রাপ্ত ‘গলুই’ সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন পূজা চেরি। এছাড়াও আছেন আজিজুল হাকিম, সুচরিতা, সমু চৌধুরী, ঝুনা চৌধুরী প্রমুখ। সিনেমাটির সহ-প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।

কেআই/আরআইজে