আজ (১৯ জুলাই) বাংলা চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে’-খ্যাত অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর জন্মদিন। দিনটিকে ঘিরে বিশেষ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক।

তিনি বলেন, ‘বরণ্যে এ শিল্পীর জন্মদিনটায় আমরা তাকে স্মরণ করে সম্মান জানাতে চাই। তাই আমাদের নিজস্ব পরিসরে আয়োজন করেছি। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে কেক কাটা ও দোয়া মাহফিলের হবে। এই আয়োজনে থাকছে কেক কাটা ও দোয়ার অনুষ্ঠান। আর এটি হবে সমিতির কার্যালয়ে।’

কবরীর জন্ম ১৯৫২ সালের ১৯ জুলাই। বাবা কৃষ্ণদাস পাল। মা শ্রীমতী লাবণ্য প্রভা পাল। তার বাবার দুই বিয়ে। ছোট স্ত্রীর দ্বিতীয় মেয়ে মিনা পাল (কবরী)। সৎমায়ের দুই মেয়ে, দুই ছেলে। ছোট মায়ের পাঁচ ছেলে, চার মেয়ে। বিশাল পরিবার হলেও কবরী নিজেকে খুব অল্প বয়সেই আলাদা করেছেন; নিজ গুণে। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি। কাজ করেন টেলিভিশনে। এরপর দ্রুত যুক্ত হন চলচ্চিত্রে।

প্রায় সাড়ে পাঁচ দশক আগে ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন কবরী। তারপর একের পর এক ছবি দিয়ে জয় করতে থাকেন দর্শক হৃদয়, হয়ে ওঠেন বাংলা চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে- ‘জলছবি’, ‘বাহানা’, ‘সারেং বৌ’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘সুজন সখী’, ‘রংবাজ’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘দেবদাস’, ‘আবির্ভাব’, ‘বাঁশরি’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘দীপ নেভে নাই’, ‘দর্পচূর্ণ, ‘হীরামন’, ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘বিনিময়’ ইত্যাদি। 

নির্মাতা হিসাবেও কাজ করেছেন কবরী। তার নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘আয়না’ মুক্তি পায় ২০০৫ সালে। অসমাপ্ত রয়েছে গেছে তার নির্মাণাধীন ‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমাটি। এছাড়াও ২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রকাশিত হয় তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’। এর বাইরে রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন কবরী। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত বছরের ১৭ এপ্রিল চিরতরে না ফেরার দেশে চলে যান কবরী।

আরআইজে