বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। বর্তমানে আছেন কলকাতাতে। সেখানে ‘৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’-এ প্রথমদিনের প্রথম শো-ই ছিল তার দখলে। সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে সিনেমা সংশ্লিষ্ট পশ্চিমবঙ্গের সবাই মজেছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘হাওয়া’তে। স্বয়ং কলকাতার দর্শকরাই বলছে— এ এক নতুন হাওয়া! নতুন ঝড়!

ওপার বাংলার একজন অভিনেতাকে ঘিরে এপার বাংলায় কেন এত উন্মাদনা? অভিনয়টাই বা কীভাবে এত নিখুঁত করেন? প্রশ্ন ছিল ‘হাওয়া’ অভিনেতার কাছে। স্বভাবসুলভ মিষ্টি হেসে চঞ্চলের জবাব, ‘আসলে অভিনয়টা তো করি না। চরিত্র হয়ে ওঠার চেষ্টা করি। সেই চরিত্রটার কথাবার্তা, চালচলন, তার চিন্তাটাকে নেওয়ার চেষ্টায় থাকি।’

কথায় কথায় জানালেন, ‘অভিনয় করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না কোনো দিন। পাবনার কামারহাট গ্রামের আট ভাইবোনের টানাটানির সংসার। বাবা রাধা গোবিন্দ চৌধুরী ছিলেন সেই গ্রামের বাড়ির সংলগ্ন প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ৩৪ বছর শিক্ষকতা করে এখন অবসরপ্রাপ্ত।’ মা নমিতার কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন চঞ্চল।

অভিনয়ে ধার এসেছে থিয়েটার থেকে। বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানদের যেমন ভালোবাসেন ঠিক একইরকম ভালোবাসেন অভিনয়টাকে। চঞ্চল বলেন, ‘আমি ছিলাম থিয়েটারের ব্যাকস্টেজের লোক। কী করে যে মঞ্চের সামনে একদিন চলে এলাম নিজেই জানি না।’

চান মাঝির আচার-আচরণ এমন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আত্মস্থ করলেন কীভাবে? ‘আমার গ্রামের বাড়ির থেকে দু’মিনিট দূরেই পদ্মা নদী। আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি মাঝি-মাল্লাদের। তাই তাদের আচার-আচরণ আমার খুবই চেনা। সেখান থেকেই আত্মস্থ করেছি চান মাঝির শরীরী ভাষা, কথাবার্তা,’— বলছেন চঞ্চল।

সূত্র : আনন্দবাজার

কেএইচটি