বাবার সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী

বাবাকে নিয়ে বরাবরই আবেগঘন হন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যখন অসুস্থাবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় ছিলেন তখনও তার লেখায় বাবার প্রতি দরদ ফুটে উঠত। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ইহলোক ত্যাগ করে পরলোকে পাড়ি জমান রাধা গোবিন্দ চৌধুরী (৯০)। বাবার শূন্যতা বারবার ধরা দিচ্ছে সন্তান চঞ্চলের হৃদয়ে। বাবা নেই, কিছুতেই মানতে পারছেন না তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ফেসবুকে বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন চঞ্চল। তিনি লেখেন, ‘গতকাল (বুধবার) নিজগ্রাম কামারহাটের পদ্মাপাড়েই তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাবা মিশে গেল এই গ্রামেরই আলো বাতাসে,পদ্মার জলে। সন্ধ্যায় ধর্মীয় আচার শেষে যখন নদীর পাড় থেকে বাড়ি ফিরলাম, তখন ভুলেই গেছিলাম যে, বাবাকেই তো নদীর পাড়ে রেখে এসেছি।’

বাবাকে হারিয়ে কাতর চঞ্চল। তার কথায়, “সারারাত দুই চোখের পাতা এক করতে পারিনি। সারা বাড়িময়, ঘরময় যেন বাবা গুটি গুটি পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। এই বুঝি কখন আমায় ডাক দিয়ে বলবে, ‘চঞ্চল…বাবা ঘুমাইছো?”

বাবা নেই কোনোভাবেই মানতে পারছেন না তিনি। এখনও বাবার চাদর গায়ে জড়িয়ে অনুভব করেন স্নেহাশিস আলিঙ্গন। চঞ্চলের ভাষায়, ‘বাবার কোনো কথা আর কোনো দিন কানে বাজবে না, বাবাকে দেখতে পাব না, এগুলো কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। যখন এই কথাগুলো লিখছি, শীতের এই সকালে, বাবার শালটাই আমার শরীরে জড়ানো। যে জায়গায় রোদে বসে আছি, এ জায়গায় বসেই বাবা রোদ পোহাতো। রোদের উষ্ণতা নয়, বাবার শরীরের কোমল উষ্ণতা খুঁজে ফিরছি এখন, বাকি জীবনটা হয়তো এভাবেই খুঁজতে হবে।’

পরিশেষে, সকল শুভানুধ্যায়ীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভোলেননি অভিনেতা। চঞ্চল লেখেন, ‘বাবার প্রয়াণে যে সকল সুহৃদ আমাদেরকে নানানভাবে সমবেদনা জানিয়েছেন, শেষকৃত্য অনুষ্ঠান পর্যন্ত আমাদের পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা।’

কেএইচটি