জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণী চিত্রগ্রাহক জেড এইচ মিন্টু মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (১০ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।

মিন্টুর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র চিত্রগ্রাহক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মজনু।

জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে স্ট্রোক করেন মিন্টু। সর্বশেষ তিনি রাজধানীর মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রথমে তার ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। পরবর্তী সময়ে নিউরো সার্জন অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়ার তত্ত্বাবধানে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। সফলভাবে মস্তিষ্ক থেকে টিউমার অপসারণ করা হলেও বায়োপসিতে তার ব্রেন ক্যানসার ধরা পড়ে।

পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু রেডিওথেরাপি নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা না থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে গত রবিবার বাসায় আনা হয়।

জেড এইচ মিন্টুর শ্যালক মুশফিকুর রহমান জানান, মরদেহ মানিকগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে তাকে।

দুই বাংলার বরেণ্য চলচ্চিত্র চিত্রগ্রাক সাধন রায়ের সহকারী হিসেবে জেডএইচ মিন্টুর চলচ্চিত্রে হাতেখড়ি। পরবর্তীতে আব্দুল লতিফ বাচ্চু ও বরেণ্য চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন সহকারী হিসেবে কাজ করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র চিত্রগ্রাহক সংস্থার সাবেক এই সহ-সভাপতি।

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র চিত্রগ্রাহক সংস্থা। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে বরেণ্য চিত্রগ্রাহক আফজাল চৌধুরী, রেজা লতিফ মিন্টুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

জেড এইচ মিন্টু ‘শুভদা’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘চাঁদনী’, ‘আত্ম অহংকার’, নিঝুম অরণ্য’সহ দেড় শতাধিক সিনেমার চিত্রগ্রাহক।

‘পোস্ট মাস্টার ৭১’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন সদ্যপ্রয়াত এই চিত্রগ্রাহক।