‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার হাত ধরে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় অভিষিক্ত হয়েছেন আফরান নিশো। দেশের প্রেক্ষাগৃহে চুটিয়ে ব্যবসা করছে সিনেমাটি। আগামীকাল শুক্রবার (২১ জুলাই) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৯টি সিনেমা হলে মুক্তি পাবে ছবিটি। বর্তমানে কলকাতা অবস্থান করছেন নিশো।

আজ বৃহস্পতিবার কলকাতার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে আফরান নিশোর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে এই অভিনেতা নিজের অভিনয়, পছন্দের অভিনেতা ও নিজস্ব দর্শন সম্পর্কে কথা বলেন। সাক্ষাৎকারের একটি অংশে তিনি চিত্রনায়ক নিরব সম্পর্কেও কথা বলেন। আর এই বিষয়টি নিয়েই প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন নিরব।

আনন্দবাজার অনলাইনকে নিশো বলেন, ‘আমার বন্ধু নিরব, ইমন ব্যক্তিজীবনকে অন্তরালে রেখেছেন। সেটা তাদের ক্যারিয়ারে যে খুব সাহায্য করেছে, এমনটা নয়। সুপারস্টার, মেগাস্টার যা-ই হোক না কেন তার সবটা মিলিয়ে দর্শক তাকে অনুসরণ করেন। আসলে হিরোর ধারণাটা শুধু আমাদের দেশে আছে। হিরো আসেন, বসেন, একটার জায়গায় পাঁচটা চেয়ার দেওয়া হয়। আমার কাছে হিরো বলাটা বড্ড ফেক মনে হয়। হিরো এবং অভিনেতার মধ্যে বৈষম্য তৈরি করাটা আমার দর্শন অনুমতি দেয় না।’

আফরান নিশোর মুখে নিজের ব্যক্তিজীবন আড়াল করার কথা শুনে বেশ বিস্মিত হয়েছেন নিরব। তিনি বলেন, ‘আফরান নিশো আমার বন্ধু। অথচ সে কবে বিয়ে করেছে, কবে তার বাচ্চা হয়েছে সেটাই আমি জানি না। আমার বিয়ে বাচ্চা গোপন করেছি কি না আপনারাই জানেন। হলফ করে বলতে পারি মিডিয়াও জানে না নিশো কবে বিয়ে করেছে।’

তিনি আরও বলেন, আমি পালিয়ে বিয়ে করেছি, তারপরেও গোপন করিনি। নিজেই গণমাধ্যমে ফোন করে জানিয়েছি। সেসব খবর ছাপা হয়েছে। আমার বাচ্চা হলো, আমি গণমাধ্যমকে জানিয়েছি। গুগল করলেই খবর পাওয়া যাবে। অথচ নিশো আমার বন্ধু, সে ভারতের পত্রিকায় গিয়ে এমন মিথ্যে কথা কীভাবে বলল আমার বোধগম্য হচ্ছে না।’

এবারই প্রথম নয়, এর আগে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে বিতর্কিত এক মন্তব্য করে বসেন নিশো। পরে অবশ্য নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি জানিয়েছিনে, ‘সো-কল্ড হিরো’ বলে তিনি নির্দিষ্ট কাউকে ইঙ্গিত করেননি। এটা তার নিজস্ব ফিলোসপি। এবার নিরবের নাম নিয়ে আবারও সমালোচনায় পড়লেন এ অভিনেতা।

উল্লেখ্য, ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায় আফরান নিশোর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তমা মির্জা। ছবিটিতে আরও আছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, মোস্তফা মনওয়ার, মনির আহমেদ শাকিল প্রমুখ। সিনেমার একটি আইটেম গানে নেচেছেন নুসরাত ফারিয়া। চরকি ও আলফা আইয়ের যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফী।

কেএইচটি