গতকাল শুক্রবার দিনজুড়ে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ ছিল ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়ক জায়েদ খানের ‘দ্য হিউম্যানিটেরিয়ান প্লাটিনাম লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্তি। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাতে বিশ্বের ৪০ নাগরিকের সঙ্গে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন তিনি।

নতুন এ সম্মাননা পেয়ে আবেগাপ্লুত এ অভিনেতা। জায়েদ খান বলেন, “এটা আমার জন্য কতটা সম্মানের, বোঝানো যাবে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকের মধ্যে আমিই একমাত্র বাংলাদেশি। আমার নাম ছিল তালিকায় ১১ নম্বরে। যখন পুরস্কার নেওয়ার জন্য ইংরেজিতে বলা হলো ‘জায়েদ খান ফ্রম বাংলাদেশ’, তখন ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিলাম। মঞ্চে উঠে পুরস্কার গ্রহণ করলাম। মানুষের করতালিতে বারবার আবেগে আপ্লুত হচ্ছিলাম।”

নিজের এই অর্জনকে জীবনের সেরা অর্জন বলে মত দেন এ চিত্রনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের সেরা অর্জন এটি। দেশকেই আমি অর্জনটি উৎসর্গ করলাম। দুই বছরের জন্য আমাদের সবাইকে পিস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাজের শান্তির জন্য আমরা কাজ করব।’

জানা যায়, সম্প্রীতি, শান্তি ও নিজ নিজ স্থানে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেন, এমন ব্যক্তিদের দ্য হিউম্যানিটেরিয়ান প্লাটিনাম লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।

শুক্রবার (২১ জুলাই) সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, আমেরিকায় জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ’ থেকে একটি পুরস্কার পেয়েছেন জায়েদ খান। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জায়েদ খানকে পুরস্কার দেওয়া ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ’ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

মূলত জাতিসংঘের একটি হলরুম ভাড়া করে বিভিন্নজনকে পুরস্কৃত করে এই প্রতিষ্ঠান। কিছু পেশাদার ব্যক্তির উদ্যোগে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এই সংগঠনের নামে একটি ডোমেইন কিনে পরে ওয়েবসাইট চালু করা হয়। এটির প্রতিষ্ঠাতা ড. অ্যান্ড্রিজ বেস নামের এক ব্যক্তি এবং কার্লোস ম্যানুয়েল প্যারেজ গঞ্জালেস নামের আরেকজন এই প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট।

কেএইচটি