ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’ পাইরেসির কবলে পড়েছে। বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে পুরো সিনেমাটির হল প্রিন্ট দেখা যাচ্ছে বিনামূল্য। 

বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নেননি ‘সুড়ঙ্গ’র নির্মাতা রায়হান রাফি। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে পাইরেসি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে যারা এই জঘন্য কাজটি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন রাফি। 

এই নির্মাতার ভাষ্য, পাইরেসি ইস্যু নিয়ে অনেককেই কথা বলতে দেখছি না। এটাও কিন্তু সন্দেহজনক। একজন নায়ক আরেকজন নায়ককে কি বললো সেটা নিয়ে সমালোচনা করছেন, কিন্তু একটা সিনেমার এত বড় ক্ষতি হয়ে গেল এটা নিয়ে কথা বলছেন না! 

তার এমন মন্তব্যর পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার নির্মাতা হিমেল আশরাফ। তার ভাষ্য, নিজের বউ অন্যের সঙ্গে ভেগে গেলে আড়ালে রাখাই ভালো। কেউ যদি বউ চলে গেলে খুশি হয় তাহলে আলাদা কথা!

হিমেল বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘সিনেমা পাইরেসি অনেকটা নিজের বউ অন্যের সাথে ভেগে যাওয়ার মতো। নিজের বউ অন্যের সাথে ভেগে গেলে আমি কী করবো? ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেবো? পাড়া-প্রতিবেশী বা আত্মীয়-স্বজন কেন সেটি স্ট্যাটাস দিলো না বা প্রতিবাদ করলো না, সেটা নিয়ে অভিযোগ করবো? নাকি আইনের আশ্রয় নেব? নাকি যার সাথে বউ ভাগলো তাকে খুঁজবো, নাকি কেন ভাগলো, আমার কতটুকু ভুল ছিল, বউয়ের কতটুকু দোষ ছিল তা যাচাই-বাছাই করবো? তবে কেউ যদি বউ চলে গেলে খুশি হয় তাহলে আলাদা কথা!’

অন্যকে দোষ দেয়ার আগে নিজের দিকে তাকানো উচিত বলেও মনে করেন এই নির্মাতা। তার ভাষ্য,‘আমাকে অনেকেই ইনবক্স করছেন পাইরেসি নিয়ে কেন আমি প্রতিবাদ করছি না। তাদের জবাবে বলছি, কিছু কিছু বিপদে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ বা সহমর্মিতা কোনটাই জানাতে হয় না। পারলে উপকার করতে হয় অথবা চুপ থাকতে হয়। সব রোগের এক ওষুধ না। এটা জানতে হবে।’

এদিকে ‘সুড়ঙ্গ’র পাইরেসি ইস্যুতে কথা বলতে বৃহস্পতিবার সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফি এবং প্রধান দুই চরিত্র আফরান নিশো ও তমা মির্জা বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে কথা বলেছে ‘সুড়ঙ্গ’ টিম। তিনি সিনেমাটি পাইরেসির সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত শনাক্ত করে বিষয়টি সমাধানে আশ্বস্ত করেছেন।

এনএইচ