প্রিয় নায়ক সালমান শাহর অকাল প্রয়াণ মেনে নিতে পারেননি তার অসংখ্য ভক্ত-দর্শকরা। মৃত্যুর ২৭ বছর পূর্ণ হলেও আজও স্মৃতিতে অমলিন এই ক্ষণজন্মা চিত্রনায়ক। ভক্ত-দর্শকের পাশাপাশি এই নায়কের জন্ম ও মৃত্যু দিবসে স্মৃতিকাতর হয়ে ওঠেন তার সহকর্মীরা।

বছর ঘুরে সালমানের বিশেষ দিনটি সামনে এলে যেন নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না তার অধিকাংশ সিনেমার নায়িকা শাবনূর। তাই তো নিজের অনুভূতি প্রকাশে কোনোকালেই রাখঢাক রাখেননি। অবশ্য সে সময় সালমান-শাবনূর জুটিকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন ছিল চিত্রপুরীতে। নায়কের আত্মহত্যার পেছনে অন্যতম একটি কারণ হিসেবে শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, যা নিয়ে পরবর্তীতে সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহের কথা উল্লেখ করেছে পিবিআই।

যা-ই হোক, এসব আলোচনাকে পায়ে ঠেলে নিজের প্রয়াত সহকর্মীকে স্মরণ করলেন শাবনূর। সালমান শাহর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সামাজিকমাধ্যমে এ অভিনেত্রী লেখেন, ‘কোথায় হারিয়ে গেলে সালমান? তোমার স্মৃতিগুলো আজও আমায় কাঁদায়।’

সালমানের আত্মার শান্তি কামনা করে শাবনূর আরও লেখেন, ‘অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৬ সেপ্টেম্বর)। দীর্ঘ ২৭ বছর পর এখনো তাকে ভুলতে পারেনি চলচ্চিত্রাঙ্গনের মানুষ ও তার অনুরাগীরা। যেখানে আছো, ভালো থেকো স্বপ্নের নায়ক। তোমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় বাদী হয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি।

২০২০ সালে এক সংবাদ সম্মেলনে সালমান শাহর মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সংস্থাটির দাবি, সালমানকে হত্যা করা হয়নি, নায়িকা শাবনূরের সঙ্গে তার সম্পর্কের জের ধরে পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেন। যদিও তাদের এ দাবি মানতে নারাজ নায়কের পরিবার ও তার ভক্তরা।

কেএইচটি