অস্ট্রেলিয়া থেকে দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। ঢাকায় ফিরেই এই নায়িকা ঘোষণা দিয়েছেন নতুন কিছু সিনেমার। ইতোমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে নায়িকার নতুন ছবির লুক। 

যা নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। বিশেষ করে এক নবাগত পরিচালকের হাত ধরে এই নায়িকার সিনেমা ফেরার বিষয়টি আলোচনার সৃষ্টি করেছে তার ভক্তদের মাঝে। একইসঙ্গে তারা চাইছেন, মেদ ঝরিয়ে আরও প্রস্তুতি নিয়ে সিনেমায় ফিরুক শাবনূর। 

নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিকও ঠিক তাই মনে করেন। এই পরিচালকের হাত ধরেই ২০০৫ সালে ‘দুই নয়নের আলো’ সিনেমায় অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন শাবনূর।

নিজের পছন্দের নায়িকাকে নিয়ে সোমবার ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। যেখানে মানিক সেই কথাগুলোই বলেছেন, যা সরাসরি শাবনূরকে বলতে পারছিলেন না। 

মোস্তাফিজুর রহমান মানিক তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, গত কয়েক দিনে একটি পোস্টারকে (‘রঙ্গনা’ সিনেমার পোস্টার) কেন্দ্র করে, সবার প্রিয় অভিনেত্রী শাবনুরকে  যেভাবে ট্রল করা হয়েছে, তা মনে হয় শাবনূরের এত বছরের অভিনয় জীবনে কোনোদিন করা হয়নি। একজন শাবনুরভক্ত হিসেবে এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। খোদ শাবনুরভক্তরা একে বয়কটের ডাক দিয়েছে।  

শাবনূরের আরও বুঝে শুনে সিনেমা করা উচিত, এমনটা মনে করে মানিক লেখেন, এই ট্রলের যুগে, শাবনূরের যদি আবার মুভি করতেই হয়, অত্যন্ত বুঝে শুনে করা উচিত। আমি বিশ্বাস করি, বর্তমান সময়ের অনেক মেধাবী এবং জনপ্রিয় পরিচালক তার সাথে কাজ করতে আগ্রহী। চয়নিকা চৌধুরী, রায়হান রাফী, নিয়ামুল মুক্ত, এন এস বুলবুল বিশ্বাস। এরইমধ্যে তার সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ আমাকে নিজে বলেছেন তাকে নিয়ে কাজ করার কথা। আমার মনে হয় নিজেকে আরও ফিট করে আরও সময় নিয়ে এসব পরিচালকদের সাথে রাজকীয়ভাবে তার ফেরা উচিত। 

নিজের খামখেয়ালিপানা কিংবা কোনো অদক্ষ ব্যক্তির জন্য শাবূরের জনপ্রিয়তা ধ্বংস হোক সেটা চান না ‘দুই নয়নের আলো’ সিনেমার এই পরিচালক। তিনি লিখেছেন, এক্সপেরিমেন্টের কোনো সুযোগ নেই এই সময়। মনে রাখতে হবে এটা ১৯২৪ না, এটা ২০২৪। বিখ্যাত সব পরিচালক, প্রযোজক,কাহিনিকার, ডিওপি,এমনকি অসংখ্য স্পট বয়ের  প্রচেষ্টার সাথে শক্তিশালী অভিনয় দক্ষতার মিশেলে গড়ে উঠেছে শাবনূরের আজকের সার্বজনীন ইমেজ।  কিছু লোকের অদক্ষতা, ভাইরাল হওয়ার প্রচেষ্টা আর শাবনূরের নিজের খামখেয়ালির জন্য, এই ইমেজ, এই জনপ্রিয়তা, এই প্রতিমা ধ্বংস হোক, আমিসহ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অগনিত শাবনূর ভক্ত তা কোনোদিন চায় না।

সবশেষে নিজেকে শাবনূরভক্ত দাবি করে এই নির্মাতা লেখেন, প্রয়োজনে আমার মুভিও রিজেক্ট করুন, তবু কাউকে নিজের ইমেজ শেষ করার সুযোগ দিবেন না প্লিজ। মুর্খ অদক্ষ কোনো মেকআপম্যান যদি আপনার উপদেষ্টা হয় তাহলে বলার কিছু নাই। আপনি তাদের ব্যক্তিগতভাবে ভালোবাসুন কোনো সমস্যা নাই।  কিন্তু নিজের ক্যারিয়ার এর ক্ষেত্রে এদের বর্জন করুন, দরকারে আমাকেও বর্জন করুন। আপনাকে ব্যাক্তিগত এই কথাগুলো বলতে না পেরে এই পোস্ট দিলাম। আশা করি ভুল বুঝবেন না।  

এনএইচ