ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। অভিনয়ের বাইরে রাজনীতির মাঠেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় তাকে। 

সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সেই ভাবনা থেকে সরে আসেন তিনি। যদিও সংরক্ষিত নারী আসন থেকে সংসদ সদস্য হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এই নায়িকার। 

এবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস জানালেন, মনে প্রাণে আওয়ামী লীগকেই ধারণ করেন তিনি।

অপুকে প্রশ্ন করা হয়, জনপ্রিয় নায়িকার পর এবার কী রাজনীতিবিদ হচ্ছেন? জবাবে নায়িকা বলেন, ‘হ্যাঁ। আমি মনে প্রাণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেই আছি।’

অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতে কতটা সময় দিতে পারবেন— এমন প্রশ্নে অপু বলেন, ‘একজন মহিলা অনেকদিক সামলাতে পারেন, আমিও পারব বলে আশা রাখি। রাজনীতির সঙ্গে অভিনয়ের কোনও দ্বন্দ্ব হবে না৷’

অপুকে প্রশ্ন করা হয়, রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে কতটা যোগ্য মনে করেন তিনি? জবাবে নায়িকা বলেন, ‘অভিনেত্রী ও সভানেত্রী আমার কাছে একই। পর্দায় যখন অভিনেত্রী হিসেবে কিছু করা হয়, সেটা মানুষের জন্যই থাকে। টিভিতে কোনো কথা বলছি সেটাও মানুষের কাছেই পৌঁছায়। সভানেত্রীর কাজ তো একই, জনমনে পৌঁছে যাওয়া।’

ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই আমার আদর্শ। সঙ্গীতে তার উৎসাহ, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তার আগ্রহ, অবদান এক কথায় অনবদ্য। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শিল্পী কলাকুশলীদের অভিভাবকের মতোই আগলে রাখেন তিনি। রাজনীতিতে আমি তাকেই অনুসরণ করি।’

এনএইচ