গেল বছর বাংলাদেশে এসে জায়েদ খানের সঙ্গে ‘ছায়াবাজ’ নামের একটি সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। কক্সবাজারে বেশ কয়েকদিনের শুটিং শেষে সিনেমার নৃত্য পরিচালকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে পুরো কাজ শেষ না করেই কলকাতায় ফিরে যান এই নায়িকা। 

এরপরই সায়ন্তিকাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ছবির প্রযোজক। তার দাবি, শুটিং শেষেও হোটেলে থেকে যান জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা। এরপরই নায়কের সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জনও ছড়ায়। 

এ ঘটনার মাস পেড়িয়েছে। সায়ন্তিকাও বর্তমাকে কলকাতায় অবস্থান করছেন। সেখানেই সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। যেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কী জায়েদ খানের বউ হচ্ছেন?

জবাবে সায়ন্তিকা বলেন, ‘না না একেবারেই কারও বউ হচ্ছি না।’ তাহলে জায়েদ খানের বউ হচ্ছেন না? এমন প্রশ্নে সায়ন্তিকা বলেন, ‘আমি কারোর নামে মিথ্যা অপবাদ দিই না। জায়েদ খান ভীষণই ভালো একজন মানুষ। আমাকে সত্যি সাহায্য করেছেন। সম্মান দিয়েছেন।’

সায়ন্তিকা আরও বলেন, ‘বাবা-মা এখনই আমাকে বিয়ে দিতে আগ্রহী নন। আমি তো সব সময় মিডিয়া বন্ধুদের বলি পাত্র খুঁজে দিতে, সবাই দেবে বলে; কিন্তু আর দেয় না। আমার তো পাত্র খোঁজার সময় নেই! ২৪ ঘণ্টা বাঁকুড়ায় পড়ে থাকলে কোথা থেকে আমি প্রেম করব?’ 

এর আগে জায়েদ খানের সঙ্গে হোটেলে সময় কাটানো প্রসঙ্গে সায়ন্তিকা বলেছিলেন, ‘কে আমাকে নিয়ে কী বলছে, তা নিয়ে আমি সত্যিই ভাবতে চাই নই। কোনও সাফাই দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করি না। কারণ আমি জানি সত্যিটা কী। আর নায়ক-নায়িকা যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টাও হোটেলে বসে থাকে, সেখানে সমস্যা কোথায়?’

অন্যদিকে সায়ন্তিকার সঙ্গে জড়িয়ে গুঞ্জন প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেছিলেন, ‘এসবই ষড়যন্ত্রের অংশ। একদল লোক সবসময়ই জায়েদ খানের খোঁজ রেখে বেড়ায়। জায়েদ কোথায় যাচ্ছে, কখন কি করছে- এসবই জানার চেষ্টা করে। তারা কখনোই চায় না আমি ভালো কিছু করি। সেই শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর থেকেই আমার সঙ্গে এসব ঘটছে।’

জায়েদ আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, যদি তারা জানতে পারত- সায়ন্তিকা বাংলাদেশে এসে আমার বিপরীতে সিনেমায় কাজ করবে, তাহলে কোনোভাবেই তাকে বাংলাদেশে আসতে দিত না। যেমনটা শ্রাবন্তীর ক্ষেত্রেও ঘটেছিল।’

এনএইচ