এবারের ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে মোট ১৩টি সিনেমা। যার মধ্যে রয়েছে মোস্তফা কামাল রাজের পরিচালনায় ‘ওমর’ সিনেমা। ঈদের দিন থেকেই রাজধানীর বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে চলছে এই সিনেমা। 

ঈদের পরদিন দর্শকদের সঙ্গে হলে হাজির হয়ে ছবিটি উপভোগ করেছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। সিনেমা দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েছেন তিনি। প্রেক্ষাগৃহ থেকে বের হয়েই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি। 

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ‘ওমর’ সিনেমা দেখা শেষে বের হয়ে মোস্তফা কামাল রাজকে কাছে পেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে দেখা যায় চয়নিকাকে। এসময় রাজকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি আমার বড় হতে তাহলে তোমাকে আমি স্যালুট জানাতাম। তুমি কি সিনেমা বানিয়েছ, আমি কান্না ধরে রাখতে পারছি না। নায়িকাহীন এমন সিনেমা কেউ বানাতে পারে কল্পনাতেও ছিল না।’

এ সময় চয়নিকা আরও বলেন, ‘তোমার এই ছবি হিট হওয়া উচিত, মানুষের দেখা উচিত। মানুষ যদি নাও দেখে তুমি সুপার বানাইছ। আমার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাচ্ছিল।’

এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ। তিনি জানান, ওমর সিনেমায় কাজ করার সময় লম্বা সময় শুটিংয়ের বাইরে ছিলেন। রাজের ভাষ্য, ‘ওই সময় আমি মানসিক ট্রমার মধ্যে ছিলাম। সেই ট্রমা কাটিয়ে ওঠার জার্নি হলো এই সিনেমা। আমি রাজ ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই এই অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে। কারণ তিনি আমাকে যে মানসিক শক্তি জুগিয়েছেন, সেটা বলে বুঝাতে পারব না। ছবির প্রতিজন শিল্পী আর পুরো ইউনিট আমার টেককেয়ার করেছে, সাহস জুগিয়েছে। এই কৃতজ্ঞতা আমি আজীবন মনে রাখব।’

‘ওমর’ ছবি উৎসর্গ করা হয়েছে লেখক-নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ ও চিত্রনায়ক-প্রযোজক মান্নাকে। উৎসর্গ করার কারণ হিসেবে নির্মাতা বললেন, ‘এই দুজন মানুষকে ছবিটি উৎসর্গ করার মূল কারণ, তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করা। হুমায়ূন আহমেদ আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক। ওনার লেখা এবং নির্মাণ আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। আর নায়ক মান্না আমার অনেক প্রিয়, এমনকি আমার সিনেমার নায়ক শরীফুল রাজেরও প্রিয়। কেন এত প্রিয়, জানতে হলে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখতে হবে সিনেমাটি।’

এনএইচ