নিজের আশুলিয়ার জমিতে হাসপাতাল নির্মাণের কথা জানিয়েছিলেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। প্রয়াত স্ত্রীর নামে এর নাম দেন ‘জাহানারা কাঞ্চন মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল’। প্রায় দুই বিঘা জমির ওপর এটির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। জেনারেল হাসপাতাল হলেও এখানে বেশি গুরত্ব দেওয়া হবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের।

ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়েছিলেন, তার নিজের অর্থেই নির্মাণ করবেন হাসপাতালটি। এর মধ্যেই ৬ তলার পরিকল্পনা পাশ করিয়েছেন। কাজ শুরু হলেও অর্থের অভাবে মাঝপথে আটকে গেছে হাসপাতালটির কাজ।

ঢাকা পোস্টকে ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, বর্তমানে অর্থের অভাবে হাসপাতালের কাজ বন্ধ রয়েছে। আবার কবে কাজ শুরু করতে পারবেন তাও জানেন না।

তিনি বলেন, ‘কাজ শুরু করলেও এখনও শেষ করতে পারিনি। চেয়েছিলাম নিজের অর্থায়নে কাজটি করতে। কিন্তু অর্থের জন্য তা আটকে রয়েছে। গুলশানে আমার একটি জমি বিক্রি করে আবারও কাজ শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই জমি নিয়ে একটি সমস্যা চলছে। তাই আপাতত হাসপাতাল নিয়ে এগোতে পারছি না।’

হাসপাতালটি নির্মাণের বিষয়ে কোনও বিনিয়োগকারীও এগিয়ে আসেননি। ইলিয়াস কাঞ্চন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘কোনও বিনিয়োগকারী আমার কাছে আসেনি। আমিও এটি নিয়ে কারও দ্বারস্থ হইনি।’

উল্লেখ্য, অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এর স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন একুশে পদক। সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি গঠন করেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’। সংগঠনটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন অভিনেতা।

এমআরএম/আরআইজ