বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস। নব্বই দশক থেকে নিয়মিত কাজ করছেন। দেশের পাশাপাশি তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও বেশ জনপ্রিয়। কেননা সেখানকার বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ নায়ক। এই সুবাদে ভারতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার।

কিন্তু গত আড়াই বছর ভারতে যেতে পারেননি ফেরদৌস। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তৃণমূলের হয়ে প্রচার করায় তার বিরুদ্ধে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ তোলে বিজেপি। এরপরই ফেরদৌসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

সেই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে গত আড়াই বছর ভারতের মাটিতে পা রাখতে পারেননি। অবশেষে তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) তিনি জানালেন, ভারতের ভিসা পেয়েছেন।

এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে ফেরদৌস বললেন, ‘একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে আড়াই বছরের বেশি সময় ভারতে ঢুকতে পারিনি। নিষেধাজ্ঞা শেষে ভারতের ভিসা পেয়ে ভীষণ আনন্দিত। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দুই দেশে একসঙ্গে কাজ করেছি। সব সময় বলতাম, কলকাতা আমার সেকেন্ড হোম।’

ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়াটাকে নিজের ভুল বলেই স্বীকার করেন ফেরদৌস। বললেন, ‘অবশ্যই এটা আমার ভুল। আমি তো জানতাম না যে এমন কাজ করা যাবে না। আমাকে যারা নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়ে গেছেন, তারাও জানতেন না আমি সেখানে যেতে পারব না। এটা অবশ্যই ভুল। জীবনে একটা উচিৎ শিক্ষা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ভারতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকে অভিনয় করতে পারেননি ফেরদৌস। ঐতিহাসিক সিনেমাটির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তাকে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় সরে দাঁড়াতে হয় তাকে।

কেআই/আরআইজে