গত ১২ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত বহুল আলোচিত সিনেমা 'রেহানা মরিয়ম নূর'। কান উৎসবে প্রশংসা কুড়ানোর পাশাপাশি এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস (অ্যাপসা) দ্বিতীয় সেরা সিনেমা নির্বাচিত হয় এটি এবং সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি পান আজমেরী হক বাঁধন।

এ ছাড়া হংকং এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভালে জিতেছে নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড। সিনেমাটির ব্যাপক সুনামের পাশাপাশি সমালোচনাও আছে। সেই সমালোচকদের দলে যোগ দিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে প্রখ্যাত এই নারীবাদী লেখিকা লিখেছেন, 'প্রথম কানে গিয়েছে বাংলাদেশের কোনো ছবি, খুব স্বাভাবিক যে সে ছবিটি দেখার আগ্রহ খুব হবে আমার। ছবিটি দেখার সৌভাগ্য হলো কাল রাতে। রেহানা মরিয়ম নূর। ছবিটির প্রধান চরিত্রে আমার মনে হয়নি আছেন কোনো সৎ বা উদার কোনো মানুষ। প্রথম থেকেই সে রগচটা, রুক্ষ, স্বার্থপর, একগুঁয়ে, আত্মকেন্দ্রিক। ধার্মিক রেহানাকে যদি নারীবাদী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা হয়ে থাকে, তাহলে ভুল।'

তিনি আরও লেখেন, ‘নারীবাদীদের সংবেদনশীল হতে হয়। যত না সংবেদনশীল সে, তার চেয়ে বেশি প্রতিশোধপরায়ণ। তার জন্য কোনো শ্রদ্ধা বা সহানুভূতি জন্মায় না। ছবিটি ডেনিশ ডগমা ফিল্মের মতো হাত-ক্যামেরায় শুট করা। কিন্তু বারবারই জনমানবহীন হাসপাতালের একই করিডর, একই ঘোলা ঘর। কোনো আউটডোর নেই। কোনো আকাশ-বাতাস নেই। ছবিটি ছবি না হয়ে কোনো ডার্ক নাটক হলে ভালো হতো। সিনেমাটি বড় পর্দায় না দেখিয়ে মঞ্চে দেখালে মানাত।'

উল্লেখ্য, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন। কান উৎসবের গত আসরে এটি ‘আ সার্তে রিগা’ বিভাগে নির্বাচিত হয়েছিল। প্রথম প্রদর্শনীর পর সিনেমাটি স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছিল। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও ভূয়সী প্রশংসা পায়।