এ যেন সাহিত্যের ছোটগল্প। শেষ হয়েও হলো না শেষ। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে গত এক মাস আলোচনা, সমালোচনার ঝড় বইছে। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন শেষ হয়ে যেন আরও ঝামেলা পাকিয়ে দিলো।

ভোটের দিন সিনেমা সংশ্লিষ্ট ১৭টি সংগঠনের কাউকে এফডিসিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সংগঠনগুলোর সদস্য-নেতারা। এ নিয়ে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) থেকেই এফডিসিতে আন্দোলন শুরু করেছেন তারা। তিন দফা দাবিতে আজও চলছে প্রতিবাদ।

পরিচালক, প্রযোজক ও সিনেমা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের স্লোগানে উত্তাল এফডিসি। রোববার (৩০ জানুয়ারি) এফডিসির প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছেন তারা। এ সময় সম্মুখ সারিতে ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, একসময়ের সফল পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, শাহীন সুমনসহ আরও অনেকে।

প্রতিবাদে ঝাঁজালো কণ্ঠে এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের অপসারণ দাবি করেছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি চলচ্চিত্রের মানুষ হয়ে থাকি, তাহলে এই এমডি এফডিসিতে থাকতে পারবেন না। সরকার চাইলেও তিনি থাকতে পারবেন না। আমরা রাস্তায় শুয়ে থাকবো। এই এমডিকে নিয়ে আমরা এফডিসিতে কাজ করতে চাই না। এই এমডি আমাদের চান না। এফডিসি গড়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এখানে তার স্মৃতি ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন তিনি। আমরা জেনেছি তার ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো না। তিনি অন্যরকম মানুষ যা আমাদের সঙ্গে মেলে না।’

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এক পক্ষকে সমর্থন দিয়েছেন এফডিসির এমডি; এমন অভিযোগও করেছেন ঝন্টু। তার ভাষ্য, ‘নির্বাচনে এবার দুটি প্যানেল হয়েছে। এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিন শিল্পীদের একটা প্যানেলকে সাপোর্ট করেছেন। তার জন্য আমাদের ঢুকতে দেননি। কারণ আমরা পরিচালকরা এফডিসিতে ঢুকলে ভালো মানুষ পাস করতো। এই কাজের জন্য এফডিসিতে উনি থাকতে পারবেন না। উনি থাকলে আমার থাকবো না।’

এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের অপসারণ ছাড়া আরও দুটি দাবি রয়েছে এই ১৭টি সংগঠনের। এগুলো হলো- নির্বাচনের প্রধান কমিশনার পীরজাদা হারুণকে আজীবন নিষিদ্ধ এবং এফডিসির ভেতরে আর কখনো শিল্পী সমিতির নির্বাচন হতে না দেওয়া।

কেআই