বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ৩৮ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী সেক্রেটারি হলেন নিপুণ আক্তার। এই সমিতির প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে। ওই বছরের ১১ মে সভাপতি পদে ক্ষমতা বুঝে নেন নায়করাজ রাজ্জাক। সেবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ। সেই থেকে এই পর্যন্ত পুরুষরাই এ সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়ে আসছেন। এবার নিপুণ ভেঙে দিলেন সেই ধারা।

নিপুণ এই পদটি পেয়েছেন নানা নাটকীয়তার পর। গত ২৮ জানুয়ারি হয়ে যাওয়া শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে নিপুণকে ১৩ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন জায়েদ খান। তবে তার বিরুদ্ধে নিপুণের করা অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। ফলে নিপুণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এফডিসিতে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি নিপুণ। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “সত্যের জয় হয়েছে। আমার কাছে অনেক প্রমাণ ছিল। আমি অনেকভাবে গিয়েছি পীরজাদার (নির্বাচন কমিশনার) কাছে। তিনি আমাকে সহযোগিতা করেননি। সত্যের জয় হয়েছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আর কিছু বলার নেই।”

শিল্পী সমিতির ইতিহাসে প্রথম নারী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে এই নায়িকা বলেন, ‘এটা সত্যি দারুণ ব্যাপার। আমি খুবই আনন্দিত ৩৮ বছরের সমিতির ইতিহাস নতুনভাবে লিখতে পেরে। আশা করি ভবিষ্যতে হয়তো অন্য নারী শিল্পীরাও অনুপ্রাণিত হবেন।’

উল্লেখ্য, কেবল জায়েদ খান নন, অনিয়ম করার অভিযোগে প্রার্থীতা হারিয়েছেন কার্যনির্বাহী সদস্য প্রার্থী চুন্নুও। তার পরিবর্তে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে নাদির খানকে।

এই নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন কিংবদন্তি নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। গত দুই মেয়াদের সভাপতি মিশা সওদাগরকে হারিয়ে তিনি নির্বাচিত হন।

আরআইজে