ঢাকাই সিনেমার শিল্পীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি’। ১৯৮৪ সালে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। ওই সময় সমিতি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন নায়ক সোহেল রানা। সেটা আমলে নিয়ে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন নায়ক ফারুক এবং তা গঠনে সহায়তা করেন নায়ক উজ্জ্বল। তিন কিংবদন্তির উদ্যোগে গঠিত সমিতির প্রথম সভাপতি হয়েছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক।

শিল্পী সমিতির তিন প্রতিষ্ঠাতার প্রতি সম্মান জানিয়ে এর কার্যালয়ের ভেতরে তাদের ছবি ফ্রেমবন্দি করে রাখা আছে অনেকদিন যাবত। কিন্তু সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, নতুন দায়িত্ব পাওয়া ইলিয়াস কাঞ্চন ও চিত্রনায়িকা নিপুণ চেয়ারে বসার পরই ওই ছবিগুলো সরিয়ে ফেলেছেন।

বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা, সমালোচনা চলছিল কয়েকদিন ধরেই। চিত্রনায়ক রুবেলও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে পুরো অভিযোগটি ‘মিথ্যাচার’ বলে দাবি করলেন নিপুণ। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এফডিসিতে সাংবাদিকদের কাছে তিনি বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন।

নিপুণ বলেন, ‘একটি মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে মনগড়া। ফারুক, সোহেল রানা ও উজ্জ্বল ভাইদের ছবি সরানোর কি কোনো কারণ বা লজিক আছে? কাদের মাথা থেকে এসব নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আসে আমি জানি না। তারা আমাদের আদর্শ। আমাদের কাছে তারা কিংবদন্তি। আমাদের মাথার মুকুট।’

নিপুণ জানান, ফারুক, সোহেল রানা ও উজ্জ্বলের ছবি যে কাঁচের ফ্রেমে টানানো ছিল, সেই কাঁচ ভেঙে গেছে। এ কারণেই কাঁচটি সরিয়ে নিজেদের উদ্যোগে তা সংস্কার করেছেন। নিপুণের ভাষ্য, ‘ছবি সংস্কার করিয়ে আবারও নামফলক নির্ধারিত স্থানেই বসানো হয়েছে। তারা সম্মানের জায়গায় ছিলেন, চিরদিন থাকবেন। আমরা চিন্তা করছি পদের ঝামেলা মিটলে শুধু এই তিনজন কেন, তাদের সঙ্গে নায়ক রাজ্জাক, আলমগীর, আহমেদ শরীফ, খলিল সাহেবসহ অনেক কিংবদন্তির ছবি রাখা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিল মিশা-জায়েদ ও কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল। নির্বাচনে সভাপতি পদে জয় পেয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চলছে নানা জটিলতা। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এই পদের দুই প্রার্থী জায়েদ খান ও নিপুণের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

কেআই