হলিউড অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী ল্যান্স রেডডিক মারা গেছেন। শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে ৬০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন তার মুখপাত্র মিয়া হ্যানসেন। জানা গেছে, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এই অভিনেতার। মৃত্যুকালে তিনি তার স্ত্রী স্টেফানি রেডডিক এবং দুই সন্তান ইভন নিকোল রেডডিক ও ক্রিস্টোফার রেডডিককে রেখে যান।

টুইটারে রেডডিকের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ‘দ্য ওয়্যার’-এর সহ-অভিনেতা ওয়েন্ডেল পিয়ার্স। তিনি লেখেন, ‘একজন মহান শক্তিশালী ও দয়ালু মানুষ রেডডিক। তিনি একজন সংগীতজ্ঞ হিসেবে যতটা প্রতিভাবান ঠিক ততটাই প্রতিভাবান একজন অভিনেতা হিসেবে। পরিপূর্ণ জাত শিল্পীর উদাহরণ তিনি।’

অভিনেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ‘জন উইক’ নির্মাতা চ্যাড স্ট্যাহেলস্কি এবং অভিনেতা কিয়ানু রিভস। ‘জন উইক’ ছবি সিরিজের আসন্ন চতুর্থ কিস্তি সদ্যপ্রয়াত এই অভিনেতাকে উৎসর্গ করে শোকবার্তায় লেখেন, ‘রেডডিকের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং মর্মাহত।’

২০০৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে রেডডিক বলেছিলেন, ‘আমি হৃদয়ে একজন শিল্পী। অনুভব করি যে, যা করি তাতে আমি খুব ভালো। যখন নাটকের স্কুলে গিয়েছিলাম, তখন জানতাম আমি অন্তত অন্যান্য ছাত্রদের মতোই প্রতিভাবান। কিন্তু যেহেতু আমি একজন কালো মানুষ ছিলাম এবং সুন্দর ছিলাম না, তাই আমি জানতাম সর্বোত্তম হতে হলে আমাকে আমার প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।’

রেডডিক ফক্স সিরিজ ‘ফ্রিঞ্জ’-এ একজন বিশেষ এজেন্ট ফিলিপ ব্রয়েলস এবং ম্যাথিউ অ্যাবাডন চরিত্রে ‘লস্ট’ টিভি সিরিজে অভিনয় করেছেন। এছাড়া ‘জন উইক’ সিরিজে তাকে দেখা গেছে কন্টিনেন্টাল হোটেলের অভ্যর্থনাকারী চারন চরিত্রে। শুক্রবার (২৪ মার্চ) ছবিটির চতুর্থ কিস্তি মুক্তি পাবে।

২০২১ সালে ‘ওয়ান নাইট ইন মিয়ামি’ চলচ্চিত্রের জন্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হন রেডডিক। সদ্যপ্রয়াত এই অভিনেতার আসন্ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘হোয়াইট মেন কান্ট জাম্প’, ‘শার্লি’, ‘জন উইক’-এর স্পিনঅফ ‘ব্যালেরিনা’ এবং ‘দ্য চেইন মিউটিনি কোর্ট মার্শাল’ ছবিগুলো।

ইস্টম্যান স্কুল অব মিউজিক-এ সংগীত বিষয়ে পড়াশোনা করেন রেডডিক। সেখানে তিনি শাস্ত্রীয় সংগীতে পাঠ নেন এবং পিয়ানো বাজানো শেখেন। ২০১১ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘দ্য জ্যাজি কনটেম্পলেশনস অ্যান্ড রিমেমব্রেন্সেস’ প্রকাশিত হয়।

এসএ/কেএইচটি