করোনা পরিস্থিতির কারণে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা ভেবেছিলেন এবারের অস্কার অনুষ্ঠান হবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। হয়েছেও তাই। চলতি বছরের আয়োজনে দর্শকদের সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। 

শুধু তাই নয়, নিলসেনের তথ্য অনুযায়ী এবারের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের টেলিভিশন দর্শক ছিল ৯৮ লাখ ৫০ হাজার। যা গত বছরের তুলনায় কমেছে ৫৮ শতাংশ। 

চলতি বছরের ১ মার্চ গোল্ডেন গ্লোবস অ্যাওয়ার্ড ও ১৫ মার্চ গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। দুটি অনুষ্ঠানেই দর্শকদের সংখ্যা কম ছিল। তবুও কয়েক লাখ ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। 

এসবের পরেও আয়োজিত হলো অস্কারের ৯৩তম আসর। অনুষ্ঠানটির ৩০ সেকেন্ডের একটি বিজ্ঞাপনের পেছনে ব্যয় হয়েছে ২০ লাখ ডলার। যুক্তরাজ্যভিত্তিক তথ্য বিষয়ক সংস্থা কানটার মিডিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। 

গত বছরের অস্কার অনুষ্ঠানে রেড কার্পেটসহ বিজ্ঞাপন বাবদ ১৫ কোটি ডলার রাজস্ব দেয় এবিসি। আশা করা হয়েছিল, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের বিজ্ঞাপনের রাজস্ব বেশি হবে। 

বিজ্ঞাপন সংস্থা সিকুয়েন্ট পার্টনার্সের জিম স্পায়েথ বলেন, ‘বর্তমানে কোনও অনুষ্ঠানের রেটিং বাড়ানোর জন্য অনেক ব্যয় করতে হচ্ছে।’ 

ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক বছর ধরে অস্কার অনুষ্ঠানের রেটিং কমছে। তা সত্ত্বেও বিজ্ঞাপনদাতারা অনুষ্ঠানটিতে ব্যয় করতে আগ্রহ হারায়নি। কানটার মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে অস্কার অনুষ্ঠানটির রেটিংয়ের হার কমে হয় ৭০ শতাংশ। কিন্তু ৩০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপনের মূল্য বেড়েছে ২৫ শতাংশ।

সিকুয়েন্ট পার্টনার্সের অ্যালিস সিলভেস্টার বলেন, ‘অস্কারের সঙ্গে বিজ্ঞাপনদাতাদের ব্যবসার উন্নতির স্বার্থ থাকার কারণে এতে অনেক বেশি ব্যয় করা হচ্ছে। এছাড়া বাজারে সেসব প্রতিষ্ঠানের সুনামও অক্ষুণ্ন থাকছে।’ 

ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একাধিক বিজ্ঞাপন সংস্থার অস্কারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করার আগ্রহ রয়েছে। ক্যাডিয়াল্যাক এবং রোল্যাক্সের মতো আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অস্কারের সঙ্গে ব্যবসা করতে চায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ দুই প্রতিষ্ঠান এক কোটি ডলারের বেশি ব্যয় করেছে এই অ্যকাডেমিক অ্যাওয়ার্ডসে। 

এইচএকে/এমআরএম