তাইওয়ানকে আলাদা দেশ বলার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন পেশাদার কুস্তিগীর ও ‌‘ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস ৯’ তারকা জন সিনা। চলতি মাসের শুরুতে তাইওয়ানের একটি চ্যানেলে সিনেমাটির প্রচারণায় তাইওয়ান আলাদা দেশ হিসেবে মন্তব্য করেন তিনি। 

জন সিনার মন্তব্যের পর থেকে শুরু হয় সমালোচনা। প্রকৃতপক্ষে চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ মনে করলেও সেখানে আলাদা সরকারব্যবস্থা রয়েছে। সে কারণে চীন ও তাইওয়ানের সম্পর্ক নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় রয়েছেন। আলাদা সরকারব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও তাইওয়ানকে কেউ আলাদা দেশ বলে চীন সরকার তাকে নিজেদের শত্রু মনে করে। 

জন সিনা সেই ভুলই করেছিলেন। তবে নিজের ভুলের জন্য সামাজিক মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভুল করে ফেলেছি। এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি সত্যিই দুঃখিত। চীনের মানুষকে আমি ভালোবাসি এবং তাদের সম্মান করি- এটি বোঝার চেষ্টা করুন।’ 

করোনা মহামারীর মধ্যেও ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস নাইন’ সিনেমা ব্যবসাসফল হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে চীনই সফল হচ্ছে। দেশটির কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জন সিনার ক্ষমা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্ষোভ কিছুটা কমেছে। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বলেছেন, জন সিনাকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল। 

কোভিড অতিমারী কাটিয়ে ওঠার পর চিনে ‘ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস নাইন’ ছবিটি খুব ভাল ব্যবসা করছে। চিনই এখনই বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্রের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। গত বছর তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। হলিউডের ছবির মুক্তির জন্য চিনই এখন বড় ক্ষেত্র  হয়ে উঠেছে। চিনের কিছু সংবাদমাধ্যমের থেকে জানা গিয়েছে, জন সিনা যে ক্ষমা চেয়েছেন, তাতে রাগ রাগ কমেছে এই দেশের কিছু নেটিজেনের। সেই নেটিজেনরা দাবি করেছেন, জন সিনাকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এবং ভুল বোঝানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ‘এফ-নাইন’ সিনেমাটি চীনের বক্স অফিসে সুপার-হিট হয়েছে। গত ২১ মে এটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সিনেমাটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেবল চীন থেকেই ১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেছে। 

এইচএকে/এমআরএম