সমালোচনার পরও বক্স অফিসে দাপট দেখাচ্ছে ‘অ্যাভাটার থ্রি’
গল্প নিয়ে দর্শকদের তীব্র সমালোচনা আর অগোছালো প্লটের অভিযোগ- এসব নিয়েই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে ‘অ্যাভাটার’ এর তৃতীয় কিস্তি। দর্শকদের একটি বড় অংশ অসন্তোষ প্রকাশ করলেও মুক্তির পাঁচ দিনেও এর সাফল্য লক্ষণীয়।
গত ১৯ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে মুক্তি পায় জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। বিতর্ক ছাপিয়ে আয়ের রেকর্ড গড়েছে ছবিটি। সামাজিক মাধ্যমে সিনেমাটি নিয়ে ঝড় বইলেও বক্স অফিসে এতদিনে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে নিয়েছে এটি; যা এক মাইলফলক গড়ার পথে রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ট্রেড অ্যানালিস্ট লুইস ফার্নান্দোর রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথম চার দিনে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ২৯ কোটি ৬২ লাখ ডলার এবং উত্তর আমেরিকার বাজার থেকে ১০ কোটি ২৫ লাখ ডলার আয় করেছে সিনেমাটি। অর্থাৎ, মাত্র চার দিনেই এর মোট বিশ্বব্যাপী আয় দাঁড়িয়েছে ৩৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার (পঞ্চম দিন) পার হতেই এটি ৪০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে এক মাইলফলক অতিক্রম করবে।
তবে অনেকেই এই সিনেমাকে ‘পুরনো মদ নতুন বোতলে’ কিংবা ‘৪০০ মিলিয়ন ডলারের পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ৩ ঘণ্টা ১৭ মিনিটের দীর্ঘ ব্যাপ্তি এবং দুর্বল সংলাপের কারণে অনেক দর্শক প্রেক্ষাগৃহ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে বলেও শোনা গেছে। কেউ কেউ আবার বলেছেন ‘টাইম ওয়েস্ট’। যদিও বা আয়ের চিত্র বলছে ভিন্ন কথা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, ২০২৫ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমার তালিকায় ১৫ নম্বরে উঠে এসেছে ‘অ্যাভাটার থ্রি’। চলতি সপ্তাহ শেষে এটি শীর্ষ ১০-এ জায়গা করে নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০০৯ সালে ‘অ্যাভাটার’ এবং পরবর্তীতে এর দ্বিতীয় কিস্তি বিশ্বজুড়ে আয়ের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে নির্মিত তৃতীয় এই কিস্তিটি শেষ পর্যন্ত ২ বিলিয়ন ডলারের ক্লাবে পৌঁছাতে পারে কি না, এখন সেটিই দেখার বিষয়। তবে প্রাথমিক মন্দা ভাব কাটিয়ে বক্স অফিসে সিনেমাটির এই ঘুরে দাঁড়ানোকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র : কইমই
ডিএ