অ্যানিমেশন সিনেমা বলতে যদি আমরা কার্টুন ধরে নিই, তবে মস্ত বড় ভুল হবে। প্রতিটি চলচ্চিত্রের সাধারণ সব কথোকপনে লুকিয়ে আছে গোপন আর গভীর বার্তা। এই যে ‘মোমোতারোস ডিভাইন সী ওয়ারিয়র্স’ চলচ্চিত্রের কথাই ধরা যাক। পরিচালক ওসামু তেজুকা জাপানি রূপকথা মোমোতারোকে সিনেমার পর্দায় তুলে আনলেন। ছোট্ট মোমোতারো দৈত্যদের সাথে লড়াই করতে যায়। আসলে এটি ছিল বিশ্বযুদ্ধে জাপানের তরুণ প্রজন্মকে অংশ নেওয়ার আহ্বান।

অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় জাপান পৃথিবীকে কম কিছু দেয়নি। ওসামু তেজুকা তো কেবল শুরু! এরপর হায়াও মিয়াঝাকি, ইসাও তাকাহাতা, কাতসুহিরো ওতমো- এমন আরো কত নামই রয়ে গেছে বাকি। হালের আরেকটি জনপ্রিয় ছবি ‘মাই হিরো একাডেমিয়া ম্যাঙ্গা’। এ যাবৎ মুক্তি পাওয়া এই সিরিজের দু’টি সিনেমা জাপানে দারুণ সাড়া পেয়েছে। মন জিতে নিয়েছে জাপানের বাইরের বিভিন্ন দেশের দর্শকদেরও।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সিরিজের তৃতীয় সিনেমা ‘মাই হিরো একাডেমিয়া: ওয়ার্ল্ড হিরোস মিশন’। এটি পরিচালনা করেছেন জাপানের জনপ্রিয় নির্মাতা কেনিজ নাগাসাকি। যথারীতি এ সিনেমাটিও বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করেছে দর্শক। জাপানের পর গেল অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।

সেখানেও আশানুরূপ সাফল্য পাওয়া গেছে বলে বক্স অফিস রিপোর্টে জানা যায়। এবার বাংলাদেশে আসছে ‘মাই হিরো একাডেমিয়া: ওয়ার্ল্ড হিরোস মিশন’। আগামী শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে এ সিনেমা।

এর আগে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) স্টার সিনেপ্লেক্সর মহাখালী এসকেএস টাওয়ার শাখায় সিনেমাটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স কতৃপক্ষ।

আরআইজে