বাংলাদেশে ৩৬ লাখ ৫০ হাজার মোটরসাইকেল নিবন্ধনের (রেজিস্ট্রেশন) অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। অথচ এর বিপরীতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া চালকের সংখ্যা ২৩ লাখ ৫০ হাজার। অর্থাৎ ১৩ লাখ চালকেরই নেই মোটরসাইকেল চালানোর অনুমোদন।

মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রাপ্তির মধ্যকার সমন্বয়হীনতার দায় না নিয়ে উল্টো সড়ক দুর্ঘটনায় অধিক প্রাণহানির জন্য এ বাহনকে দায়ী করছে বিআরটিএ। তারা বলছে, গঠনগতভাবে মোটরসাইকেল অপেক্ষাকৃত একটি অনিরাপদ বাহন। এটি সাধারণত যুবক বা উঠতি বয়সীরা বেশি ব্যবহার করেন। তাদের মধ্যে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর প্রবণতা খুব বেশি। সম্প্রতি দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।

অথচ ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে মোটরসাইকেল ইঞ্জিনের ক্ষমতার (সিসি) বৈধ সীমা বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)।

মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রাপ্তির মধ্যকার সমন্বয়হীনতার দায় না নিয়ে উল্টো সড়ক দুর্ঘটনায় অধিক প্রাণহানির জন্য এ বাহনকে দায়ী করছে বিআরটিএ। তারা বলছে, গঠনগতভাবে মোটরসাইকেল অপেক্ষাকৃত একটি অনিরাপদ বাহন। অথচ ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে মোটরসাইকেল ইঞ্জিনের ক্ষমতার (সিসি) বৈধ সীমা বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে বিটিটিসি

মোটরসাইকেল খাতের সংগঠন মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সিসির সীমা ১৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ করার একটি প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বিটিটিসি।
 
কমিশন মনে করে, স্থানীয় মোটরসাইকেল শিল্পের বিকাশে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ইঞ্জিনের ক্ষমতার সীমা তুলে নেওয়া দরকার। তবে স্থানীয় শিল্পের কথা বিবেচনা করে আপাতত ৩৫০ সিসি পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া যায়। তবে তা ৫০০ সিসি করা এবং একপর্যায়ে সীমা তুলে নেওয়া যেতে পারে।

কমিশনের এমন প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নন পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, দেশের সড়কগুলো এখনও উচ্চ সিসির মোটরসাইকেলের জন্য উপযুক্ত নয়। এমনিতে দুর্ঘটনার শীর্ষে মোটরসাইকেল। চালনায় অদক্ষতা, দ্রুতগতিতে চলাচল, হাইওয়েতে নিয়ন্ত্রণহীন মোটরসাইকেল। এরই মধ্যে মোটরসাইকেলের সিসি বাড়ানো হলে বাড়বে দুর্ঘটনা, মৃত্যুঝুঁকিও বাড়বে।

সাইফুল ইসলাম, একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় (এনজিও) চাকরি করেন। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায়। চাকরির সুবাদে থাকতে হয় চাঁদপুরে। প্রতি ঈদে তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে সুদূর চাঁদপুর থেকে গাইবান্ধায় যান।

ঈদযাত্রার শুরুর দিন (২৬ এপ্রিল) থেকে কর্মস্থলে ফেরার (১০ মে) সময় পর্যন্ত ৩৭২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৬ জন নিহত ও ৮৪৪ জন আহত হয়েছেন। গত বছরের (২০২১ সালের ঈদুল ফিতরের সময়) সঙ্গে তুলনা করলে দুর্ঘটনার হার ১৪.৫১ শতাংশ, নিহত ২২.৩৫ শতাংশ এবং আহতের সংখ্যা বেড়েছে ২৬.৩০ শতাংশ

মোটরসাইকেলে কেন যেতে হবে বাড়ি— জানতে চাইলে সাইফুল বলেন, শেষ মুহূর্তে মেলে ছুটি। ছুটি মিললেও পরিবহন পাওয়া যায় না ওই সময়। এবার তো দেখেছেন ট্রেনের টিকিটের কী অবস্থা। বাসে খরচও বেশি। তাই পরিবারকে আগেই গ্রামে পাঠিয়ে দিয়ে ঈদের দুদিন আগে নিজের বাইকে বাড়ি ফিরেছি।

দুর্ঘটনার ঝুঁকির বিষয়ে তিনি বলেন, ঝুঁকি তো আছেই। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় মোটরসাইকেল নিরাপদ মনে হয়।

এবারের ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা ও হতাহতের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরা প্রতিবেদনে জানায়, ঈদযাত্রার শুরুর দিন (২৬ এপ্রিল) থেকে কর্মস্থলে ফেরার (১০ মে) সময় পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ দিনে ৩৭২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৬ জন নিহত ও ৮৪৪ জন আহত হয়েছেন। গত বছরের (২০২১ সালের ঈদুল ফিতরের সময়) সঙ্গে তুলনা করলে দুর্ঘটনার হার ১৪.৫১ শতাংশ, নিহত ২২.৩৫ শতাংশ এবং আহতের সংখ্যা বেড়েছে ২৬.৩০ শতাংশ।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে দেখা যায়, এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। ১৬৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৫ জন নিহত ও ১১০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৪.০৮ শতাংশ, নিহতের হার ৩৪.৮৫ শতাংশ এবং আহত প্রায় ১৩.০৩ শতাংশ

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে দেখা যায়, এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। ১৬৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৫ জন নিহত ও ১১০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৪.০৮ শতাংশ, নিহতের হার ৩৪.৮৫ শতাংশ এবং আহত প্রায় ১৩.০৩ শতাংশ।
 
এ বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, করোনা না থাকায় এবারের ঈদে বেশি মানুষ যাতায়াত করেছেন। ঈদযাত্রায় ২৫ লাখ মোটরসাইকেল ও ৪০ লাখ ইজিবাইক রাস্তায় নেমেছে।

‘সড়ক দুর্ঘটনার এমন চিত্র প্রতীকী হিসেবে ধরা যায়। প্রকৃতপক্ষে দেশে বর্তমানে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের সংখ্যা ক্যান্সারের মতো বেড়েছে। দুর্ঘটনাও বেড়েছে। ফলে পঙ্গু হাসপাতালে (জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান) প্রতিদিন গড়ে ১৫০ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ঈদের সময় ভর্তি হয়েছেন ২০০ থেকে ২৫০ রোগী। যার ৬০ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার।’

দেশে কেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে— জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, উন্নত দেশে মোটরসাইকেল চালানোর সময় বিশেষ পোশাক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সেই রীতি নেই। ফলে এখানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেশি।

তার মতে, জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা উচিত। মহাসড়কে অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ, আলোকসজ্জার ব্যবস্থা, দক্ষ চালক তৈরি, ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নিশ্চিতের পাশাপাশি মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত এবং নিয়মিত রোড সেফটির বিষয়টি অডিট করা দরকার।

অন্যদিকে সেভ দ্য রোড নামের এক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের ১২ দিনে সড়কে ঝরেছে ৬৮১ প্রাণ। এর মধ্যে ১৯০ জনের মৃত্যুর কারণ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।

বিআরটিএ সূত্র বলছে, দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা প্রায় ৩৬ লাখ ৫০ হাজার। বিপরীতে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের সংখ্যা প্রায় ২৩ লাখ ৫০ হাজার। অসংখ্য অদক্ষ মোটরসাইকেলের চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া এ যান পরিচালনা করছেন।

সংস্থাটি বলছে, ২০১৮ সালে তিন লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৫, ২০১৯ সালে চার লাখ ১৪ হাজার ৫২, ২০২০ সালে তিন লাখ ১১ হাজার ১৬, ২০২১ সালে তিন লাখ ৭৫ হাজার ২৫২ এবং চলতি বছরের (২০২২ সাল) শুধু জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৮৪ হাজার ৫৮৩টি মোটরসাইকেলের।

বৈধ চালক ছাড়া নিবন্ধন দিচ্ছে বিআরটিএ

বৈধ চালক ছাড়া কেন নিবন্ধন দিচ্ছে বিআরটিএ— জানতে চাইলে বিআরটিএ’র মুখপাত্র (পরিচালক, রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আইনে কোনো বাধ্যবাধকতা নাই যে ড্রাইভিং লাইসেন্স কম বলে বা নাই বলে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন দেওয়া যাবে না। আমরা যে পরিসংখ্যান দিয়েছি, বাস্তবতার নিরিখে বৈধ চালকের সংখ্যা আরও কম হবে।

নিবন্ধন দিলেও মোটরসাইকেল চালনায় বিআরটিএর নিরুৎসাহ

নিবন্ধন দিলেও পারতপক্ষে মোটরসাইকেল না চালাতে উৎসাহ দিচ্ছে বিআরটিএ। তাদের মন্তব্য হলো, নিরাপত্তা বিবেচনায় হাইওয়েতে মোটরসাইকেল না চালানো ভালো। চালালে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন গ্রহণ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, জরুরি প্রয়োজনে স্বল্পদূরত্বে যেতে মোটরসাইকেলের ব্যবহার হলেও বর্তমানে এসব যান মহাসড়ক ও দূরপাল্লায় চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। সম্প্রতি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা অনেক বেড়েছে। হাইওয়েতে মোটরসাইকেল চালাতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। মোটরসাইকেল চালানোর সময় অনেক ক্ষেত্রে হেলমেটসহ যথাযথ নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত গতি, ওভারটেকিং, নিয়ম না জানা বা না মানা প্রভৃতি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

এবারের ঈদযাত্রায় ১৬৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৫ জন নিহত ও ১১০ জন আহত হয়েছেন / ছবি- সংগৃহীত

‘তাই আমরা মানুষকে সতর্ক করার চেষ্টা করছি। তারা যেন নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে হাইওয়েতে মোটরসাইকেল না চালান। এটা করলে তো ভালো। চালালে তারা যেন নিরাপত্তার সব সরঞ্জাম ব্যবহার করেন— আমরা সেই পরামর্শ দিচ্ছি।’
 
গত সোমবার (৯ মে) সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে ‘সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি’ জারি করে। সেখানে বলা হয়, দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এর মূলে মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেল অপেক্ষাকৃত একটি অনিরাপদ বাহন। তাই মোটরসাইকেলের চালকদের ফুল হাতা শার্ট, ফুল প্যান্ট, কেডস বা জুতাসহ মানসম্মত নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরে মোটরসাইকেল চালাতে হবে।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনারোধে বিআরটিএর সাত পরামর্শ

১. অভিভাবকগণ সন্তানদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করুন।

২. শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প দূরত্বে মোটরসাইকেল ব্যবহার করুন। দূরপাল্লা বা মহাসড়কে মোটরসাইকেল ব্যবহার করবেন না। মোটরসাইকেল চালনাকালে একজনের বেশি আরোহী বহন করবেন না।

এবারের ঈদযাত্রায় ২৫ লাখ মোটরসাইকেল ও ৪০ লাখ ইজিবাইক রাস্তায় নামে / ছবি- সংগৃহীত

৩. মোটরসাইকেল চালনাকালে ওভারটেকিং করবেন না। মোটরসাইকেলে সর্বদা স্বল্পগতি বজায় রাখুন অর্থাৎ দ্রুতগতিতে বা বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালাবেন না।

৪. অধিকাংশ ক্ষেত্রে মোড় বা বাঁক ঘোরার সময় মোটরসাইকেল কাত হয়ে পড়ে যায়। এ কারণে যেকোনো মোড়/বাঁক ঘোরার আগে বা রাস্তার বাঁক অতিক্রমের সময় নিয়ন্ত্রণ উপযোগী অত্যন্ত স্বল্পগতিতে মোটরসাইকেল চালাবেন।

৫. মোটরসাইকেল চালনাকালে মোবাইল ফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করবেন না। ট্রাফিক আইন, ট্রাফিক সাইন মেনে চলুন।

৬. চালক ও আরোহী উভয়েই সঠিকভাবে মানসম্মত হেলমেট ও অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি (Chest guard, Knee Guard, Elbow guard, গোড়ালি ঢাকা জুতা বা কেডস সম্পূর্ণ আঙ্গুল ঢাকা গ্লাভস এবং ফুলপ্যান্ট, ফুল শার্ট) ব্যবহার করুন।

৭. হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন ইত্যাদি) এবং রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নাম্বার প্লেট ব্যতীত মোটরসাইকেল চালাবেন না।

জেইউ/এমএআর/