ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭-এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীন, ভারতসহ যেসব দেশের সন্দেহভাজন যাত্রী বাংলাদেশে আসবে তাদের নিজ ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে— এমনটি জানিয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, জ্বর, সর্দি বা কাশি নিয়ে যারা দেশে আসছেন তারা আগের মতো প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেয়ে বিমানবন্দরে করোনা সংক্রমণ লুকানোর চেষ্টা করবেন। এটা হলে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এবার বিদেশ থেকে আসাদের সংক্রমণ লুকানো কঠিন হবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, কারও জ্বর, সর্দি বা কাশি হলে ছয় ঘণ্টা আগে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলে থার্মাল স্ক্যানারে সংক্রমণ ধরা না-ও পড়তে পারে। কারণ, এ ধরনের ওষুধে জ্বর কমে যায়। এছাড়া শরীরে প্রবেশের পর পাঁচ থেকে ১৪ দিন ইনকিউবেশন পিরিয়ডে (ভাইরাসের বেড়ে ওঠার সময়‌) থাকে করোনা ভাইরাস‌। ১৪ দিন পর এর প্রভাব বোঝা যায়। তাই বন্দরে যথাযথভাবে শনাক্ত ও আইসোলেটেড করতে না পারলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।

গত ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসা চার চীনা নাগরিকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। পরে তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। রোববার (১ জানুয়ারি) একজনের বিএফ.৭ উপধরন শনাক্ত হয়। বাকি তিনজনের মধ্যে দুজনের ওমিক্রন বিএ ৫.২ উপধরন এবং আরেকজনের বিএ ৫.২.১ উপধরন শনাক্ত হয়।

আরও পড়ুন>> করোনার নতুন ধরন বিএফ.৭ কতটা সংক্রামক?

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীন ও ভারতসহ করোনাভাইরাসের নতুন উপধরন শনাক্ত হয়েছে এমন দেশগুলো থেকে যেসব সন্দেহভাজন বাংলাদেশে আসবেন তাদের নিজ ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

রোগীদের কোয়ারেন্টাইন খরচ নিয়ে উভয় সংকটে সরকার

বিশিষ্ট সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ও আইইডিসিআরের সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, কোয়ারেন্টাইন খরচের ভাবনায় রোগীদের সংক্রমণ চুরির পুনরাবৃত্তি হলে আমাদের জন্য খুবই ভয়ানক হবে। বিষয়টি আমাদের জন্য উভয় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে আমাদের যে অর্থনৈতিক অবস্থা, এর কারণে সরকারকে সব জায়গায় খরচ কমিয়ে আনতে হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারের জন্য কোয়ারেন্টাইন খরচ বহন করা কষ্টসাধ্য। এদিকে, সরকার যদি কোয়ারেন্টাইনের খরচ বহন না করে তাহলে যাতে কোয়ারেন্টাইন করতে না হয় সে লক্ষ্যে তারা নানা কৌশল অবলম্বন করে জ্বর কমিয়ে নেবে। এটা আসলে একটা বড় সমস্যা।

‘বিষয়টি নিয়ে জনগণকে বোঝানোর কোনো বিকল্প নেই। তারা যেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পরীক্ষাটা করে। দ্বিতীয় হলো সুপারভিশন, মনিটরিং বাড়াতে হবে। এটি বিমানবন্দর থেকে শুরু করতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের বিকল্প চিন্তাগুলোও প্রস্তুত রাখতে হবে। যেমন- কোনো কারণে বন্দরে কারও সংক্রমণ শনাক্ত করা গেল না, সেজন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিকল্পটাও আমাদের তৈরি করে রাখতে হবে।’

আরও পড়ুন >> বিএফ.৭ : হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখার পরামর্শ

রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক এ পরিচালক বলেন, করোনা শনাক্তকরণের ক্যাপাসিটি আমাদের দ্রুত বাড়াতে হবে। আমরা যদি বেশি বেশি পরীক্ষা করতে পারি, তাহলে কিন্তু তারা চিকিৎসার আওতায় থাকবে, তাদের আইসোলেটেড করাও আমাদের জন্য সহজ হবে। আমরা যদি আগেই শনাক্ত করে ফেলতে পারি তাহলে হাসপাতালে ভর্তির রেটটা অটোমেটিক কমে যাবে। এক্ষেত্রে তাদের চিকিৎসায় সরকারের খরচটাও অনেক কমে যাবে।

মারাত্মক বিবেচনায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে হবে

অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, বিএফ.৭ অতি সংক্রামক এতে কোনো সন্দেহ নেই। চীনের মতো একটা দেশে এত সংক্রমণ হয়েছে, ভাবাই যায় না। সুতরাং এটি মারাত্মক বিবেচনায় নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। কিন্তু এ সংক্রমণে তেমন কিছু হবে না... এ ধরনের কথাবার্তা যদি শুরু হয়, সেটা কিন্তু আমাদের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

‘আমার পরামর্শ হলো এটিকে (সংক্রমণ) যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া। যেসব রোগী শনাক্ত হচ্ছে তাদের থেকে যেন বেশি না ছড়ায়। এজন্য আইসোলেশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের যেহেতু এখনও রোগী কম, আমরা যদি বেশির ভাগ রোগীকে ভর্তি করি, এমনকি মৃদু সংক্রমণ নিয়ে আসাদেরও তাহলে আইসোলেশনটা হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের করোনা রোগীদের যে বেডগুলো ছিল, সবগুলোকে যদি আমরা প্রস্তুত করে ফেলতে পারি, একইসঙ্গে এমন একটা পরিবেশ যদি করে ফেলতে পারি যে মানুষ আক্রান্ত হলেই হাসপাতালে যাচ্ছে, তাহলে সংক্রমণটা নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য খুবই সহজ হবে। এক্ষেত্রে হাসপাতালে আমাদের সার্ভিসটা ভালো দিতে হবে, রোগী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে কমিউনিকেশনটা যদি আমরা ভালো করে ফেলতে পারি, তারা হাসপাতালে ভর্তি হতে উৎসুক হবে। এক্ষেত্রে পাবলিক হেলথ এডুকেশনে যাদের পোস্ট গ্রাজুয়েশন আছে বা যাদের কমিউনিকেশনে ডিগ্রি আছে, তাদের আমরা এ জায়গায় কাজে লাগাতে পারি।

আমাদের ডাক্তারদের ওরিয়েন্টেশন দেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে তারা রোগীদের ম্যানেজ করবে, কীভাবে আইসোলেশন নিশ্চিত করবে, একইসঙ্গে চিকিৎসা দিতে গিয়ে যেন তারা নিজেরা আক্রান্ত না হয়— এগুলো নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ব্যাপারগুলোতে যদি আমরা শুরুতেই জোর দেই, তাহলে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের মতো নতুন উপধরনটিও আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবো— বলেন এ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ।

বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়াতে হবে : ডা. মুশতাক হোসেন

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, করোনা সংক্রমণের নতুন উপধরন নিয়ন্ত্রণে বন্দরে নজরদারি বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলোতে সংক্রমণ প্রতিরোধে তৎপর হতে হবে। প্রতিটি হাসপাতালে পরিচালকের নেতৃত্বে ইনফেকশন প্রিভেনশন সংক্রান্ত আলাদা কমিটি রয়েছে। হাসপাতালে মাস্ক পরা, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা নিয়ে তাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, আমরা জানি যে সংক্রমণ ছড়ানোর অন্যতম জায়গা হলো হাসপাতাল। তাই কোনো সুস্থ রোগী হাসপাতালে এসে অন্য রোগীর সংস্পর্শে যেন সংক্রমিত না হয়। এটির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

‘এই মুহূর্তে হয়তো সরকারিভাবে কোয়ারেন্টাইন সম্ভব না, তবে আমাদের সেই প্রস্তুতি রাখতে হবে। আইসোলেশনটা ঠিকঠাকভাবে পালন করতে হবে। রোগী যদি দ্রুত বাড়তে থাকে, তাহলে দ্রুততম সময়ে কোনো একটা হোটেলকে প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র বানাতে হবে। খরচের বিষয়ে সরকারকেও দেখতে হবে। অন্যথায় কোয়ারেন্টাইন থেকে বাঁচতে রোগীরা ভিন্ন পন্থা নিতে পারে। এটি হতে দেওয়া উচিত হবে না। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।’

মুশতাক হোসেন আরও বলেন, বিমানবন্দরে হয়তো সবাইকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে উদ্যোগী হতে হবে। সন্দেনভাজন দেশ থেকে আসা সব নাগরিকের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্যের আপডেট নিতে হবে। কোনোরকম ভয় না দেখিয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে হবে। কারও শরীর খারাপ হলে তাদের এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্যারাসিটামল খেয়ে বিমানবন্দরে কেউ পার পাবে না : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কিছুদিনে যাদের আমরা শনাক্ত করেছি, তাদের কারও জ্বর ছিল না। আমরা তাদের চেহারা আর অন্যান্য লক্ষণ দেখে পরীক্ষার আওতায় এনেছি এবং পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট পেয়েছি। সুতরাং নাপা-প্যারাসিটামল খেয়ে যে সবাই পার পেয়ে যাবে, এমনটি নয়। বন্দরে আমাদের ডাক্তাররা আছেন, তাদের চোখের সামনে দিয়ে বের হতে হবে। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে আমরা তাকে পরীক্ষা করব, তিনি যে-ই হোন না কেন।

‘যেহেতু রোগীর সংখ্যা অত্যন্ত কম, এখন পর্যন্ত আমরা চেষ্টা করছি সরকারি খরচেই তাদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে। কিন্তু ক্রমাগত রোগী বাড়তে থাকলে তো সবার জন্য সরকারিভাবে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না। যারা আসবে তারা বুঝে-শুনেই আসবে। যারা ভুল বা অসস্পূর্ণ তথ্য দিয়ে আসবে এবং আমাদের পরীক্ষায় ধরা পড়বে, তারা তো এভাবে পার পেয়ে যেতে পারে না।’

বিমানে আসার পর পাশে বসা লোকটার যখন করোনার সংক্রমণ ধরা পড়বে, তখন আমরা সামনে-পেছনে ও পাশে বসা সবাইকে কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করি। সবার হিস্ট্রি আমরা পরীক্ষা করি। সুতরাং কেউ এখান থেকে পার পেয়ে যেতে পারবে না— যোগ করেন তিনি।

নাজমুল ইসলাম বলেন, সন্দেহভাজন রোগীদের আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি, কন্টাক্ট ট্রেসিং করছি, আইসোলেটেড করছি। সবধরনের প্রটোকল আমরা ফলো করছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আমাদের হাসপাতালগুলোতে বিশেষ করে সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে এলার্ট করেছি। একইসঙ্গে আমরা গণমাধ্যমগুলোতে জনসচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেন আমরা সঠিকভাবে মাস্ক পরি, জনসমাগমগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি, মাস্ক পরার চেষ্টা করি, সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করি। এছাড়া সন্দেহভাজন যারা আছেন, তারা যেন নিজ দায়িত্বে পরীক্ষাটা করান— এটাই আমরা চাইব।

নতুন উপধরন নিয়ে ভীত নয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

অধ্যাপক ডা. নাজমুল বলেন, নতুন উপধরন নিয়ে আমরা ভীত নই। আমরা চাই না কেউ করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্যানিক হয়ে যাক। কারণ, আমাদের সংক্রমণের হার বর্তমানে ১ শতাংশেরও কম। তবে, নতুন উপধরনকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি, সংক্রমণের হার যেন কোনোভাবেই বাড়তে না পারে, আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বিএফ.৭ না ছড়ানোর বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা কী— জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন উপধরনকে আমরা খুব ক্লোজলি মনিটর করছি। সংক্রমিত দেশগুলো থেকে যারা আসছেন, তাদের নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। পরীক্ষায় যাদের নমুনা পজিটিভ পাচ্ছি তাদের আইসোলেটেড করছি, আরটিপিসিআর করছি। এই কার্যক্রমগুলো আমাদের নিয়মিত চলছে।

বিএফ.৭ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

সম্প্রতি এক নির্দেশনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন ধরনের কোভিড-১৯ (বিএফ.৭) ভাইরাসের সংক্রমণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতন হতে হবে এবং নিম্নলিখিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

• কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সম্মুখ সারির যোদ্ধা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, জটিল রোগে আক্রান্ত এবং ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিসহ প্রাপ্ত বয়স্ক সবার জন্য কোভিড-১৯ এর সব ডোজ (১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ) টিকা নেওয়া জরুরি।

• ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও জটিল রোগে আক্রান্তসহ সবাইকে কোভিড-১৯ এর সব স্বাস্থ্যবিধি (যেমন- নাক মুখ ঢেকে মাস্ক পরা, ঘন ঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া বা হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা ও হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি) মেনে চলতে হবে। এছাড়া হাট-বাজার, মসজিদ, মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়, বিয়ে, জন্মদিনসহ অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশসহ সব জনসমাবেশে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

• বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করে সন্দেহভাজন যাত্রীদের কোভিড-১৯ র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে এবং পরীক্ষার ফল পজিটিভ হলে হাসপাতালে আইসোলেশন করা হবে।

• বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের আগমনের ১৪ দিনের মধ্যে করোনার উপসর্গ (জ্বর, কাশি, শরীর ব্যথা ইত্যাদি) দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

• কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরীক্ষা করতে হবে এবং আইসোলেশনে থাকতে হবে।
 
টিআই/জেডএস/এমএআর/