• জানুয়ারি ২০২৪-এ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
• ইশতেহারের স্লোগান হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’  
• নতুন কমিটিকে পড়তে হবে পুরাতন চ্যালেঞ্জে
• বছরজুড়ে রাজনৈতিক উত্তাপ, সহিংসতার শঙ্কা

নতুন আশা নিয়ে এসেছে ২০২৩ সাল। ধারণা করা হচ্ছে দেশের রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর হবে এটি। চলতি বছর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য নেওয়া হবে সবধরনের প্রস্তুতি। বছরের শেষদিকে অথবা পরের বছরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

চলতি বছর ‘নির্বাচনী বছর’ হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে পরিচিতি পাচ্ছে। ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলো থাকবে নির্বাচনী সমীকরণে ব্যস্ত। আগামী নির্বাচন ঘিরে এখন থেকে সক্রিয় ক্ষমতাসীনরা। এত দিন জাতীয় সম্মেলন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও এখন তাদের মনোযোগ নির্বাচন-কেন্দ্রিক।

বছরজুড়ে নেতাকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, ভোটারের মন জয়ে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি, নির্বাচনী ইশতেহার ও ঘোষণাপত্র তৈরিতে ব্যস্ত থাকার পরিকল্পনা করছে দলটি। নির্বাচনী বছরে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে বড় বড় জনসভা, সমাবেশ কিংবা দলের বর্ধিত সভার মাধ্যমে ভোটারদের কাছে যাওয়ার কৌশল নির্ধারণ করবে দলটি। এছাড়া দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ভাবছে ক্ষমতাসীনরা

আরও পড়ুন >> জনপ্রতিনিধিরাই ‘নৌকা’ ডোবায়, সতর্ক কি আ. লীগ?

জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ২০২৩ সাল আওয়ামী লীগের জন্য ‘বিশেষ কৌশল’ এবং তৃণমূলকে ‘ঐক্যবদ্ধ’ করার বছর বলে মনে করছেন দলের সিনিয়র নেতারা।

বছরজুড়ে নেতাকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, ভোটারের মন জয়ে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি, নির্বাচনী ইশতেহার ও ঘোষণাপত্র তৈরিতে ব্যস্ত থাকার পরিকল্পনা করছে দলটি। নির্বাচনী বছরে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে বড় বড় জনসভা, সমাবেশ কিংবা দলের বর্ধিত সভার মাধ্যমে ভোটারদের কাছে যাওয়ার কৌশল নির্ধারণ করবে দলটি। এছাড়া দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ভাবছে ক্ষমতাসীনরা

জানা গেছে, নতুন বছরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সব দল নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকবে। বর্তমান প্রেক্ষাপট এমন বার্তাই দিচ্ছে। নির্বাচন সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দলগুলো।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ যেমন চাইবে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করতে, তেমনি দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির চাওয়া ক্ষমতায় আসীন হওয়া। তারা এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা না করলেও বেশ শক্ত বাঁধনে যে ক্ষমতার সঙ্গী হতে চায়, তা অনেকটা স্পষ্ট। এছাড়া ছোট ছোট রাজনৈতিক দলও ক্ষমতার অংশীদার হতে চেষ্টা চালাবে বলে জানা গেছে।

নতুন বছরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সব দল নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকবে / ফাইল ছবি 

অন্যদিকে, রাজনীতির মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার কথাতেই আটকে আছে। তারা নির্বাচনের আগে মাঠ দখলের জন্য একের পর এক কর্মসূচির ঘোষণা দিচ্ছে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলের সামনে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবিলা করা, কূটনৈতিক চাপ সামাল দেওয়া, দলীয় কোন্দল নিরসন, জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জনমত গঠন, সংসদ নির্বাচনে জনপ্রিয় প্রার্থী বাছাই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারবিরোধীদের অপপ্রচারের যৌক্তিক জবাব এবং বিএনপিসহ নিবন্ধিত সব দলকে নির্বাচনমুখী করাই অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

তারা বলছেন, চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে আসা নতুন নেতৃত্বকে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যত নমনীয়, বিনয়ী ও কৌশলী হওয়ার দরকার, সেটা করবে আওয়ামী লীগ। ‘নতুন বছরে নতুনভাবে নির্বাচনী ছক আঁকা হবে’— এমনটি জানিয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর একাধিক সদস্য।

চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে আসা নতুন নেতৃত্বকে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যত নমনীয়, বিনয়ী ও কৌশলী হওয়ার দরকার, সেটা করবে আওয়ামী লীগ। ‘নতুন বছরে নতুনভাবে নির্বাচনী ছক আঁকা হবে’— এমনটি জানিয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর একাধিক সদস্য

তবে, আওয়ামী লীগকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সব ধরনের ছাড়া দেওয়ার মানসিকতা তৈরিতে মনোনিবেশ দিতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দেশের অর্থনীতি, সমাজনীতি— সবকিছুতেই নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করবে। ফলে বছরটিতে ভোটের মাঠের হাঁকডাক থাকছে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক উত্তাপের পাশাপাশি সংঘাত-সহিংসতার আশঙ্কার বিষয়টিও উড়িয়ে দিতে চান না বিশ্লেষকরা।

জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জের মধ্যেই আছে। অর্থনীতির যে গতি ছিল, কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেখানে স্থবিরতা এসেছে। তবে, সরকার সেটা ভালোই মোকাবিলা করছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা বেশ ভালো। তারপরও বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা। জিনিসপত্রের দাম যেন আর অতিমাত্রায় না বাড়ে। বিদ্যুৎ নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছিল, সেটা আর আসবে না। কারণ, শীত আসার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গেছে। আরেকটা হলো, কৃষিপণ্যের উৎপাদন অব্যাহত রাখা।

আরও পড়ুন >> বিএনপির ২৭ দফা রূপরেখা হাস্যকর : আওয়ামী লীগ

নতুন বছরের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে আসা নতুন নেতৃত্বকে / ছবি- সংগৃহীত

‘আমাদের রাজনীতিতে পুরোনো যে সংকটগুলো ছিল তা এখনও কাটেনি। পরস্পরের মধ্যে যে অনাস্থা ও অনীহা, এটা কাটিয়ে ওঠার জন্য খুব কৌশলী হতে হবে। ভালো নির্বাচন করার জন্য, সবাইকে নির্বাচনে আনার জন্য কৌশল অবলম্বনের বিকল্প নেই। অংশগ্রহণমূলক না হলে সেটা ভালো নির্বাচন হবে না।’

দলীয় সূত্র মতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রধান স্লোগান প্রাথমিকভাবে ঠিক করেছে আওয়ামী লীগ। স্লোগান হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একাধিকবার এ স্লোগান নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সজীব ওয়াজেদ জয়ের সহযোগিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন। নেত্রী বলে দিয়েছেন, আগামী নির্বাচনের স্লোগান হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।’ এই স্লোগান সামনে রেখে আগামী ইশতেহার তৈরি করা হবে— এমনটি জানিয়েছে দলটির একাধিক সূত্র।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি, সন্ত্রাসী শক্তি, অপরাজনীতি ও ধর্মকে যারা রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, সেই অপশক্তি ও অপরাজনীতির অপপ্রচার মোকাবিলা করাই আমাদের নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ। অপশক্তি মোকাবিলা করে জনগণের সমর্থন নিয়েই শান্তি, সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

‘চলতি বছর আমরা মাঠপর্যায়ের জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াব। নেতাকর্মীদের মধ্যে সমন্বয় করে পরস্পরের ভেতরে ঐক্যবদ্ধ ও সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করব। দলীয় কর্মসূচিতে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো তুলে ধরব। পিছিয়ে পড়া দেশ হিসেবে আমাদের গায়ে যে তকমা ছিল, দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িক শক্তির অপব্যবহার— এসব থেকে বাংলাদেশ আজ মুক্ত। আগামী প্রজন্মের নেতৃত্বে একটি সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করাই আমাদের লক্ষ্য। এ বিষয়ে জনগণের সমর্থন আদায়ে আমাদের বিশেষ মনোনিবেশ থাকবে।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে ক্ষমতাসীন দলকে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে হবে। এ বিষয়ে প্রভাবশালী এক দেশের কূটনীতিক বেশ তৎপর। ভোট, গণতন্ত্রসহ নানা ইস্যুতে সরকারকে চাপে রাখার চেষ্টা চলছে। এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসাই হবে ক্ষমতাসীন দলের নতুন নেতৃত্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

‘নতুন বছরে নতুনভাবে নির্বাচনী ছক আঁকা হবে’— এমনটি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একাধিক সদস্য / ফাইল ছবি

এরই মধ্যে বিভিন্ন পরাশক্তি যেমন- যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জাপান, জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। এসব দাবি পূরণও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন তত ঘনীভূত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই তীব্রতর আন্দোলন মোকাবিলায় রাজপথে কলহমুক্ত ও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রয়োজন। এ বিষয়ে দলটির সক্রিয় অবস্থান নেওয়াও অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।

চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিরোধী দল যে আন্দোলন, অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র করছে; সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে— এটা মোকাবিলাই দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। 

‘জনগণের কাছে বিনয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যে উন্নয়নের মহাসড়কে— বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। এখন জনগণকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ করাই আমাদের কাজ। আমরা এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করি।’

আরও পড়ুন >> মঞ্চ কেন ভেঙে পড়ল, কী বলছেন ছাত্রলীগ নেতারা?

প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় প্রতিনিধি সভা করা, কর্মীদের ভেতরে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আসা, তাদের কাছে বিরোধী দলের ষড়যন্ত্রের বিষয়গুলো তুলে ধরা, তারা (বিরোধীরা) অতীতে ক্ষমতায় থাকাকালে কী কী করেছে, বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে গেছে, তাদের (বিএনপি) আমলের দুঃশাসন, অরাজকতা— প্রভৃতি বিষয় মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে। মানুষ হয়তো ভুলে যেতে পারে, তাদের আমলে আমরা যে অন্ধকার যুগে ছিলাম, জঙ্গিবাদের যুগে ছিলাম, সন্ত্রাসের যুগে ছিলাম; ওই সময় তারা বিদ্যুৎ দিতে পারেনি, সার দিতে পারেনি; গোটা বাংলাদেশকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য করেছিল— বিষয়গুলো মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি গত ১৩ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষ কী কী পেয়েছে, তা তুলে ধরতে হবে। নতুন বছরে এসব বিষয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে— বলেন কামাল হোসেন।

জনগণের কাছে বিনয়ী হয়ে ‘উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো’ তুলে ধরার চেষ্টা করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ / ফাইল ছবি

সম্প্রতি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্বপরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশও সংকটে আছে। জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, বিএনপির নেতৃত্বে সরকার হটানোর আন্দোলন— সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ। এগুলো মোকাবিলায় নেতৃত্বে অভিজ্ঞদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের সভানেত্রী।’

চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘দীর্ঘ ৭৩ বছর আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে গেছে। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের আগেও কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সব অপপ্রচার মোকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আমরা এগুলো মোকাবিলা করব।’

এমএসআই/এমএআর/