বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ১২তম উপাচার্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিচ্ছেন দেশের প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। এর আগে তিনি জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ছিলেন এবং সেই সময়ে মানুষের অন্ধত্ব নিবারণে অনেকগুলো মৌলিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালনেরও অভিজ্ঞতা রয়েছে দেশ সেরা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই উপাচার্যের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ডা. দীন মোহাম্মদের কর্মপরিকল্পনা, অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন ঢাকা পোস্টের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তানভীরুল ইসলাম।

ঢাকা পোস্ট : দেশ সেরা একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন, বিষয়ট কেমন লাগছে?

দীন মোহাম্মদ নূরুল হক : অবশ্যই আমার জন্য আনন্দের। তবে সত্যি বলতে কী, আমি যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য হবো, এটি পুরোপুরি আমার ধারণার বাইরে ছিল। প্রজ্ঞাপন হওয়ার আগ পর্যন্তও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। সাধারণত এসব পদগুলোতে কেউ এলে আগে থেকেই একটা আঁচ করা যায়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে এরকম কিছু ঘটেনি এবং এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। এমনকি আমি কখনও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবো, এমনটা কখনও চিন্তাও করিনি। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, অবশ্যই আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করবো এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শুধু দেশ সেরা নয়, বিশ্বের মধ্যে একটা অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই।

ঢাকা পোস্ট : হঠাৎ করেই একটা বড় দায়িত্ব কাঁধে এসেছে। দায়িত্ব পালন কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন?

দীন মোহাম্মদ নূরুল হক : আমি ঢাকা মেডিকেল ও মিটফোর্ড হাসপাতালের অধ্যাপক ছিলাম দীর্ঘদিন। ন্যাশনাল আই কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর ছিলাম, এরপর ডিরেক্টর ছিলাম আরও পাঁচ বছর। সবশেষে আমাকে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বানিয়েছেন, সেখানে দায়িত্ব পালন করেছি আড়াই বছর। যে কারণে আমার কিন্তু একইসঙ্গে ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা আছে আবার অ্যাডমিনিস্ট্রেশনেরও অভিজ্ঞতা আছে। এটা আমার জন্য বড় একটি প্লাস পয়েন্ট।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সমস্যার কথা আমি জানি, আমি প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত প্রায় সবাইকেই চিনি। কারণ আমি দীর্ঘ ২০/২৫ বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপ্লোমা, এমএস, এফসিপিএসসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিয়েছি, প্রশ্নপত্র তৈরি করেছি। এমনকি আমি এফসিপিএস করার সময়ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে ছিলাম। এখানেই আমি ক্লাস করেছি, বহুদিন লাইব্রেরিতে লেখাপড়া করেছি। এসব কারণে সবার সঙ্গেই আমার যোগাযোগ ছিল এবং আছে। যে কারণে আমি মনে করি না এই জায়গায় কাজ করাটা আমার জন্য খুব বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে।

ঢাকা পোস্ট : একজন উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন বিষয়কে প্রাধান্য দিতে চান। এ বিষয়ে আপনার নিজস্ব কোনো কর্মপরিকল্পনা আছে কিনা?

দীন মোহাম্মদ নূরুল হক : একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো শিক্ষক তৈরি করা। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হলো শিক্ষক তৈরির একটি কারখানা। আমার চাওয়া হলো আদর্শ শিক্ষক তৈরি করা। যারাই এখান থেকে শিক্ষক হয়ে বের হবেন, তারা যেন আদর্শ শিক্ষক হয়, তারা যেন তাদের দায়িত্বের প্রতি কমিটেড হয়, সেই ধরনের শিক্ষকই আমরা তৈরি করতে চাই। এরসঙ্গে খুবই ওতপ্রোতভাবে জড়িত হলো গবেষণা। মেডিকেল প্রফেশন কখনোই সামনের দিকে এগোবে না যদি মানসম্মত গবেষণা না থাকে। যতদিন আমি ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করব ততদিন গবেষণার দিকটাও আমি প্রাধান্য দেবো। এক কথায় চিকিৎসা শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা ও গবেষণা এ তিন বিষয় প্রাধান্য দেওয়া হবে।

এটা যেহেতু জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, আমি চাই এটি একটি গৌরবোজ্জ্বল বিশ্ববিদ্যালয় হবে, কোনোকিছুর প্রভাবমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত একটি প্রশাসন হবে, এখানে বিশ্বমানের স্বাস্থ্য সেবা হবে। আমি চাই মানুষ যেন এখানে এসে বঞ্চিত না হয়, চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারিত না হয়। এবিষয়গুলো অবশ্যই আমি নিশ্চিত করবো।

ঢাকা পোস্ট : একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে মানসম্মত গবেষণা ও গবেষক তৈরিতে কী ধরনের ভূমিকা রাখবেন?

দীন মোহাম্মদ নূরুল হক : গবেষণা শুধু করলেই হবে না, গবেষণার নামে আসলে কি হচ্ছে, গাইড কতটা মনিটর করছে সেগুলোও আমি দেখবো। সাধারণত নিয়ম হলো একটি চ্যাপ্টার শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটা নিয়ে ডিসকাশন হবে, গাইড দেখবে এটা ঠিক হলো নাকি ভুল হলো। ভুল হলে সেটি আবার গাইড ঠিক করে দেবে। এছাড়াও গবেষণার নামে কতটা গবেষণা হচ্ছে, অন্যকে অনুকরণ করা হচ্ছে কি-না, অনলাইন থেকে কপি করে ঢুকিয়ে দিচ্ছে কি না- এবিষয়গুলো শক্তভাবে মনিটরিং করতে হবে, অন্যথায় কখনোই কোয়ালিটিফুল রিসার্চ হবে না। আমি এবিষয়গুলো অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখবো।

আমি জানি বাংলাদেশের রিসার্চ-থিসিস, এগুলো অনেক সময় দেখা যায় প্র্যাকটিক্যাল হয় না। সরাসরি ফিল্ড ওয়ার্ক না করেই বিভিন্ন বই থেকে, অনলাইন থেকে নামিয়ে ঘরে বসে সংযোজন-বিয়োজন করে জমা দিয়ে দেয়। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে এগুলো যাতে না হয়। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চগুলো অবশ্যই আন্তর্জাতিক জার্নালে যেতে হবে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো মানসম্মত না হলে তো হবে না। এই বিষয়গুলো অবশ্যই আমি দেখবো। 

ঢাকা পোস্ট : বঙ্গবন্ধু সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল যে স্বপ্ন নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল, সেটি আদৌ কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে বলে মনে করেন? বিশেষায়িত এই হাসপাতাল নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

দীন মোহাম্মদ নূরুল হক : বাংলাদেশ এবং কোরিয়ান সরকারের যৌথ একটা প্রজেক্ট সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল, আমি মনে করি এটি বিশ্বমানের আইকনিক একটা হাসপাতাল। এটি এখন পর্যন্ত চালু হয়নি, কী কারণে এতদিনেও চালু হয়নি আমি দেখবো। দায়িত্ব নিয়েই আমি সেই হাসপাতালের জন্য বাছাই করা লোকদের নিয়ে একটা টিম করে দেব, যারা হবে খুবই কমিটেড। 

বঙ্গবন্ধু সুপার স্পেশালাইজড বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল। দীর্ঘ সময়েও এটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি। এর কারণগুলো আমাকে প্রথমে জানতে হবে, এরপর যত দ্রুত সম্ভব আমি ব্যবস্থা নেব। আমার ইচ্ছে আছে ‘ফি ফর ওয়ার্ক সিস্টেম’ চালু করা। অর্থাৎ কাজের বিনিময়ে পয়সা। যারা সরকারি চাকরি থেকে সম্প্রতি অবসরে গিয়েছেন কিন্তু কাজ করতে চান তাদের থেকে সেবা নেওয়া। আরেকটি হলো ‘টেকনোলজি ট্রান্সফার’। অর্থাৎ, চিকিৎসকদের আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিশ্বমানের ফ্যাকাল্টিদের স্বল্পমেয়াদি ট্রেনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

ঢাকা পোস্ট : চিকিৎসকদের রাজনীতির অন্যতম কেন্দ্র হলো বিএসএমএমইউ। এখানকার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রায়ই পত্রিকায় শিরোনাম হয়। আছে নানা চ্যালেঞ্জও। কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

দীন মোহাম্মদ নূরুল হক : আমি থাকি আর না থাকি কোনো দুর্নীতি হতে দেব না। আমরা টাকার দরকার নেই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে অনেক আশা করে এখানে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমি মনে করি একটা প্রতিষ্ঠান প্রধান যদি সৎ থাকে তাহলে অর্ধেক কাজ এমনিতেই হয়ে যায়। তাহলে অন্যরা অসৎ হওয়ার সাহসই পাবে না। আমি যদি অসৎ হয়ে যাই, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আমার অধস্তনরা ভাববে ভিসি সাহেব করতে পারলে আমি করলে অসুবিধা কোথায়। সুতরাং এই চ্যালেঞ্জে আমার ফেইল (অকৃতকার্য) করার কোনো সুযোগ নেই। হয় আমি সুষ্ঠুভাবে চালাবো, না হয় আমি বলবো যে আমি চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। কিন্তু এখানে কোনো দুর্নীতি হতে দেব না।

আমি জানি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে এখন এক ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। আমাকে যখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন সেখানেও এমন অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছিল। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, আমি তো তোমাকে একটা খারাপ জায়গায় পোস্টিং দিয়েছি, তুমি পারবো তো? আমি তখনও বলেছি ইনশাআল্লাহ পারবো, এখনও মনে করছি ইনশাআল্লাহ পারবো। কারণ আমার কোনো ডর-ভয় বা পিছুটান নেই। আমি চাই জাতির পিতার নামে দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন সব ধরনের প্রভাবমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত থাকে। আমি যাওয়ার পর সবাইকে আপন করে নেব এবং সবাইকে নিয়েই কাজ করবো।

ঢাকা পোস্ট : বিদায়ী উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব বিষয়ে তদন্তমূলক কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা? 

দীন মোহাম্মদ নূরুল হক : অভিযোগগুলো আমিও শুনেছি, তবে যা শুনেছি সবই মৌখিক। আমাকে যদি কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে আমার চাওয়াতে কিছু আসে যায় না। কারণ এখানে একটা ভালো অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল রয়েছে, সিন্ডিকেট রয়েছে। সুতরাং এখানে হাত-পা বাঁধা, আইনের বাইরে কিছু করতে পারবো না।

ঢাকা পোস্ট : বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করা ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) স্বীকৃতি অর্জনে বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে। এতে একদিকে যেমন বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে, অন্যদিকে দেশের এমবিবিএস ডিগ্রির গ্রহণযোগ্যতা কমছে বলেও অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন। এ অবস্থায় মেডিকেল চিকিৎসা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে আপনার পরিকল্পনা কী হবে?

দীন মোহাম্মদ নূরুল হক : ২০২৪ সালের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের স্বীকৃতি যদি না পাই তাহলে বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশ এমবিবিএস ডিগ্রির গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। আমার চিকিৎসকরা দেশে কাজ করতে পারবে, কিন্তু বিদেশ যেতে পারবে না। এমনকি বিদেশ গিয়ে কোনো চাকরিও পাবে না, পড়তে যেতে পারবে না, ট্রেনিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিষয় হলো মেডিকেলে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাবে। কারণ তারা এখানে পড়াশোনা শেষে নিজ নিজ দেশে যাবে চাকরি করতে বা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনে। কিন্তু সেটি সম্ভব হবে না।

আমরা জানি ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন আন্তর্জাতিক একটি কমিটি। এটি প্রধানত তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে মেডিকেল শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয়। এক. ভৌত অবকাঠামো। দুই. ফ্যাকাল্টি, তিন. শিক্ষা সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা। আমাদের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৩০-৪০টি মেডিকেল কলেজ আছে, যারা এসব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম। এজন্য আমি বলেছি যে, আগে এগুলো দিয়েই আবেদন করা। সর্বশেষ যতটুকু জানি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ নিয়ে কাজ করছেন। আমি মনে করি এখানে দরকার হলো, দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা।

প্রসঙ্গত, দেশব্যাপী চক্ষু রোগী ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে খুবই প্রিয় ও সুপরিচিত নাম অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সর্বোচ্চ সম্মাননা ডা. আলিম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন এই চিকিৎসক। তার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী এলাকায়। তিনি পাকুন্দিয়া এলাকার মানুষের কাছে ‘ননী ডাক্তার’ নামে পরিচিত। অত্র অঞ্চলের সবাই তাকে ননী ডাক্তার হিসেবেই চেনে।

টিআই/জেডএস