করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের পরবর্তী ঢেউ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে টিকা ক্রয়ে বড় অংকের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংকের দুটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিষ্ঠানটি এ আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বুধবার (১১ মে) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের ৫ম সফল দেশ হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে। এই সাফল্য গোটা বিশ্বের পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাংকেরও নজর কেড়েছে। একদিনে সোয়া এক কোটি ডোজ টিকা দিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের সক্ষমতা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সাফল্যের কারণে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অন্যান্য জরুরি চিকিৎসা সেবা খাতেও সহযোগিতা করতে উৎসাহিত হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের এই আর্থিক উদ্দীপনা নিঃসন্দেহে দেশের স্বাস্থ্যখাতের জন্য একটি বড় ইতিবাচক দিক হবে।

বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের ৪র্থ স্বাস্থ্য জনসংখ্যা পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি বাস্তবায়নে অগ্রগতি, ৫ম স্বাস্থ্য জনসংখ্যা পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ, কোভিড মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কর্মসূচি আলোচনা হয়। এছাড়াও ভ্যাকসিন ক্রয়ে বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়িত অর্থের বিপরীতে ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রিইম্বার্স করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জাহিদ মালেক আরও বলেন, বৈঠকে ৫ম স্বাস্থ্য জনসংখ্যা পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং এই খাতের বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে কমবেশি ১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহযোগিতার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। এছাড়াও ঢাকায় সাউথ এশিয়া অঞ্চলের রিজিওনাল সার্ভিলেন্স সেন্টার স্থাপন বিষয়েও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মো. শফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রীর সাথে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন, যুগ্ম সচিব আব্দুস ছালাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিআই/এসকেডি