আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘দেশে আজ পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। তাই চলমান উন্নয়ন যজ্ঞকে ধরে রাখতে ও বেগবান করতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও বিজয়ী করতে হবে। সে লক্ষ্যে এখন থেকেই সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কাজ করতে হবে।’

মঙ্গলবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে বিএসএমএমইউয়ের বি ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ও সি ব্লকে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন বিএসএমএমইউ ভিসি।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রাক বাংলাদেশ সময়ের ৬ দফা আন্দোলন বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রধান সোপান। বাঙালির মুক্তির সনদ বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলনের মাধ্যমেই প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি এবং পরবর্তীকালে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মলাভ এ অনুজ্ঞাকেই প্রমাণিত করল।’

উপাচার্য বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে যেসব আন্দোলন বাঙালির মনে স্বাধীনতার চেতনা ও স্পৃহাকে ক্রমাগত জাগিয়ে তুলেছিল ৬ দফা আন্দোলন তারই ধারাবাহিকতার ফসল। এরই ধারাবাহিকতায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচনে বাঙালির অবিস্মরণীয় বিজয়, একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চের গণহত্যা এবং ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পথ ধরে দেশ স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ৬ দফা দাবির সঙ্গে যেমন এ দেশের মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করেছিল, ঠিক তেমনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের করণে।’

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার তপাদার, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ডিন, শিক্ষক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নার্স, টেকনোলজিস্ট, ল্যাব টেকিনিশিয়ান ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

টিআই/এসএসএইচ