২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য সরকারের বরাদ্দ বেড়েছে চার হাজার ১৩২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে (২০২১-২০২২) এ খাতে বরাদ্দ ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। যা এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকায়।

এবার বরাদ্দের পরিমাণ বেশি না হলেও ‘সন্তুষ্ট’ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমাদের বাজেট অন্তত সময়োপযোগী। এটি নিয়ে আমরা সকলেই মোটামুটি খুশি।

শুক্রবার (১০ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করেছিলাম আমার কাছে কোনো প্রশ্ন আসবে না। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এলো। আসলে একটি খাতের যখন সবকিছু ভালো থাকে তখন আর প্রশ্ন আসে না। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, বাজেটের সবচেয়ে ভালো দিক হলো জনগুরুত্বপূর্ণ যেসব বিষয় আছে, সেগুলোতে কোনো ট্যাক্স বাড়ানো হয়নি। শিল্পায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। কাঁচামালের ট্যাক্স যেন কম হয়, শিল্পায়ন যেন ভালো হয়, কর্মসংস্থান যেন বৃদ্ধি পায়, সেই সুযোগ রাখা হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, বাজেটে স্বাস্থ্য শিক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমরা খুশি। কোভিড নিয়ন্ত্রণে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। টিকার জন্য আমরা যখনই টাকা চেয়েছি, তখন অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের ছাড় করে দিয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, মূল বাজেটের সাড়ে ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য গবেষণায় জোর দেওয়া হয়েছে। অসংক্রামক রোগের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। টিকা উৎপাদনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কোভিড নিয়ন্ত্রণে আমরা যেন কাজ করতে পারি, হেলথ সিস্টেম যেন আরও মজবুত হয়, সেটিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।

‘এক কথায় আমরা বলতে পারি, স্বাস্থ্যের বাজেট নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে এটা সত্য যে সন্তুষ্টির কোনো শেষ নেই। সন্তুষ্টি একটি চলমান প্রক্রিয়া। কাজেই আমরা আশা করব যখনই আমাদের যেটি প্রয়োজন হবে অর্থমন্ত্রী ও অর্থসচিব সেটি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।’

এবারের বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি চতুর্থ বাজেট। আর বাংলাদেশের জন্য এটি ৫১তম বাজেট। পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২০তম বাজেট। ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সরকার টানা বাজেট দিয়ে আসছে। 

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এনবিআরের চেয়ারম্যান, অর্থ সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।

টিআই/এমএআর