বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ইন্ট্রাভাসকুলার আল্ট্রাসাউন্ড বা ইন্ট্রাভাসকুলার ইকোকার্ডিওগ্রাফি প্রযুক্তির মাধ্যমে (আইভাস) প্রথম পারকুটেনাস করোনারি ইন্টারভেনশন (পিসিআই) প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে হৃদরোগ চিকিৎসায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত হলো বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। 

রোববার (৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, এই কর্মশালার ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদবিভাগের সেবার মান আর্ন্তজাতিকমানের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর এখানকার সেবার মান আরো বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগকে আধুনিকমানের করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। হৃদরোগ বিভাগের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য সত্যিকার অর্থে আধুনিক কার্ডিয়াক সেন্টার নির্মাণের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। শিক্ষা, সেবা ও গবেষণায় একটিভিটি যত বাড়ানো যায় রোগীদের সেবা ততো বাড়বে।

হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানাজিং। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ও প্রোভোস্ট ডা. এস এম মোস্তফা জামান। একইসঙ্গে তিনি এবং ভারতের রুবি জেনারেল হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুনীপ ব্যানার্জী আইভাস প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথম পিসিআই পরিচালনা করেন। পুরো কার্যক্রমটি ভিডিওর মাধ্যমে সরাসরি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেখার ব্যবস্থা করা হয়।

প্রসঙ্গত, ইন্ট্রা ভাস্কুলার আল্ট্রাসাউন্ড (আইভাস) হলো রক্তের ভেসেলের মধ্যেকার আল্ট্রাসাউন্ডের ছবি। এর মাধ্যমে কোনো ভেসেলের প্রকৃত ব্যাস এবং ঠিক কতটা অংশ জুড়ে ব্লকেজ আছে তা জানা যায়। এর জন্য পিটিসিএ করার আগে একটি আইভাস ক্যাথেটার করোনারি আর্টাটিতে প্রবেশ করানো হয়। এই আইভাস ক্যাথেটারের মাথায় একটি ট্রান্সডিউসার লাগানো থাকে। এখান থেকে অতি উচ্চ তরঙ্গ বিশিষ্ট ধ্বনি সৃষ্টি হয়। সেই ধ্বনি কর্ণগোচরের বাইরে থাকে কিন্তু আর্টারির দেয়ালে প্রতিধ্বনিত হয়ে একটি চিত্রের জন্ম দেয় যা থেকে আর্টারির ভেতরের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে নিখুঁতভাবে জানতে পারা যায়। এরফলে হৃদযন্ত্রে ঠিক কী সাইজের স্টেন্ট লাগবে তা আগে থেকেই নিখুঁতভাবে জানা যায়।

টিআই/জেডএস