বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৬ আগস্ট এক বিদেশি সাংবাদিক বলেছিলেন, এ বঙ্গবন্ধুই এক দিন বাংলাদেশে স্বমহিমায় ভাস্বর হবেন। শুধু বাংলাদেশেই নয় সারা বিশ্বের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করবে। আজ সেই সাংবাদিকের কথা প্রমাণ হয়েছে। সারা বিশ্ব বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে।

শনিবার (২৭ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, টুঙ্গিপাড়া এমন এক অজপাড়াগাঁ যেখান থেকে এক সময় গোপালগঞ্জে যেতে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় লাগত। সেই টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন আমাদের প্রিয় নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি একটি দেশ আমাদের উপহার দিয়েছেন। এই মহান মানুষকে ষড়যন্ত্রকারীরা নিষ্ঠুরভাবে মেরে ফেলে।

আরও পড়ুন : সম্রাটের জামিন বাতিল করতে হাইকোর্টে যাচ্ছে দুদক

তিনি বলেন, তাকে জানাজা ছাড়াই কবর দিতে চেয়েছিল খুনিরা। বঙ্গবন্ধুর কফিনকে জানাজা ছাড়াই দাফন করতে গেলে মওলানা হামিদ তা হতে দেননি। এরপর বঙ্গবন্ধুকে ৫৭০ সাবান দিয়ে গোসল করিয়ে মার্কিন কাপড় পরিয়ে কবর দেওয়া হয়। মাওলানা হামিদ দেখতে চেয়েছিলেন কফিনে বঙ্গবন্ধুর মরদেহ আছে কি না। আপনারা জানেন, বাংলাদেশে আরেকটি কফিন দাফন করা হয়। সেটিতে কোনো লাশ ছিল না।

উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫৫ বছরের জীবনের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ১৪ বছর জেল খেটেছিলেন। তিনি এসময়ে যে কদিন বাইরে ছিলেন সে সময় ভাষা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট জয়ী হলে বঙ্গবন্ধু  কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। দলকে সুসংগঠিত করার জন্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। দক্ষ সংগঠক হিসেবে বাঙালির কান্ডারি হিসেবে ১৯৬৬ সালে ছয় দফা ঘোষণার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকার সভাপতি শেখ কবির হোসেন। এছাড়াও স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।

টিআই/এসকেডি