করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৫ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের (প্রাথমিকের শিক্ষার্থী) টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে এই কার্যক্রমে চার লাখ ৭৬ হাজার ৮১৬ জন শিশু প্রথম ডোজের মাধ্যমে টিকার আওতায় এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪৯০ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, প্রথম দফায় রাজধানীর ২১টি কেন্দ্রসহ সারাদেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের ৫৫টি জোন ও ৪৬৫টি ওয়ার্ডে এই টিকাদান কর্মসূচি চলছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আগামী ১৪ দিনব্যাপী চলবে এই কার্যক্রম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৩ কোটি ৪ লাখ ১ হাজার ৮৬৬ জন। এছাড়া দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ১২ লাখ ৬৯ হাজার ২৯৯ জন মানুষ। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছে ৪ কোটি ৩৭ লাখ ৯৫ হাজার ৬৩১ জন।

এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার) সারাদেশে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে চার হাজার ৩৬৯ জনকে, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার ৪৬০ জনকে।

এছাড়া বুস্টার ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৬১২ জন। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত বছরের ২৭ জানুয়ারি। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ৫ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন।

টিআই/এমএইচএস