দেশে প্রথমবারের মতো প্লাজমা দিয়ে বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে জীবনরক্ষাকারী দামি ওষুধ তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যান্সার ও রক্তের নানা সমস্যায় এসব ওষুধ ব্যবহার করে জীবন বাঁচাতে পারবেন রোগীরা।

সোমবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে Orxy Bio-Tech নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ফাঁকে Orxy Bio-Tech প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপদেষ্টা দেওয়ান শাহরিয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, জীবন বাঁচানোর বা রক্ষাকারী কিছু ওষুধ সহজেই মানুষ হাতের নাগালে পান না। বাইরে থেকে সংগ্রহ করতেও অনেক খরচ হয়। আমাদের এ প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু ওষুধ তৈরি করা হবে। যা সহজেই হাতের নাগালে পাবেন ক্রেতারা। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

চার ধরনের ওধুধ বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে উৎপাদন হবে। ওষুধগুলোর মধ্যে রয়েছে albumin, immunoglobulin, coagulation factor VIII। ওষুধগুলো বাংলাদেশে আমদানিতে খরচ হয় প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। এসব ওষুধ উৎপাদনের ফলে আর বৈদিশিক নির্ভর হয়ে থাকতে হবে না।

গাজীপুর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে ২৫ একর জায়গায়জুড়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে এ প্রকল্পটি গড়ে উঠছে। এতে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। দেশের ওষুধ শিল্পেও বড় পরিবর্তন হবে বলে জানান তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে নতুন কিছুর সূচনা হলো। এর মাধ্যমে দেশে নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে। ফলে একদিকে তৈরি হবে কর্মসংস্থান, অপরদিকে মানুষ কাজ করার সুযোগ পাবেন।

তিনি জানান, দেশে হাইটেক শিল্প তথা তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ সামাজিক সমৃদ্ধি অর্জন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। চায়নাভিত্তিক Orxy Bio-Tech প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের ফলে দেশে আরও বড় সম্ভাবনা তৈরি হলো। এর ফলে বিদেশিদের আামাদের দেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়বে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের নানা দিক নিয়ে তথ্য চিত্র দেখানো হয়। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তির নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন আয়োজকরা। এছাড়া হাইটেক পার্ক নিয়ে নানা তথ্য তুলে ধরা হয়। সম্ভাবনার নানা দিক নিয়ে তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা।

একে/এসএম