শীত এলে অনেকেই পানি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন। পর্যাপ্ত পানি পান না করায় বদহজম থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দেখা দেয় অনেকের। যাদের সারা বছর সমস্যা হয় না, তাদেরও শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
শীতকালের এই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কিছু খাবারের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে- মেথি, আমলকি, কমলা, কিশমিশ, খেজুর। 

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেট পরিষ্কার হয় না। ফলে গ্যাসের সমস্যা লেগেই থাকে। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে সেখান থেকে আরও বড় জটিলতার আশঙ্কা থাকে। 

এছাড়া দিনের শুরুতে হালকা গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন, সঙ্গে নিয়মিত হাঁটুন। প্রতিদিন পাকা পেঁপে, আপেল খেতে পারেন। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি, ডাল খেতে পারেন। 

ঠিক করে পেট পরিষ্কার না হওয়া, পেটে এবং কোমরে ব্যথা, অরুচি— এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের কিছু উপসর্গ। এই সমস্যা দেখা দিলে ফেলে রাখা ঠিক হবে না।  

আরও পড়ুন : অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে দেরিতে, সুযোগ দেয় কম 

শীতকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে কিছু নিয়মও মেনে চলতে হবে। এসব নিয়মের মধ্যে রয়েছে- 

• খাওয়ার পরে গোসল না করা। কারণ, খাওয়ার সময় শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এর ফলে দ্রুত হজম হয়। খেয়ে ওঠার পরের মুহূর্তে স্নান করার পরে শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকে। ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়।

• দেরি করে দুপুরের খাবার না খাওয়া। সকালের খাবারের পর দুপুরের খাবার দেরিতে খেলে অনেক ক্ষণ ধরে পেট খালি থাকার ফলে গ্যাস জমতে শুরু করে। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর খাবার পেটে পৌঁছাতেই শুরু হয় বদহজম। 

• রাতে দই খাওয়ার প্রবণতায় বাড়তে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি, তাই রাতে দই খাওয়ার প্রবণতা থাকলে এড়িয়ে চলুন।  

• খাওয়ার পরেই ঘুমানোর অভ্যাস বাদ দিতে হবে। খাওয়ার সময় শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে। ফলে হজম দ্রুত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খাওয়ার পরেই ঘুমিয়ে পড়লে দেহের তাপমাত্রা কমতে থাকে। ফলে ঠিক মতো হজম হয় না। এতেই দেখা দেয় বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। 

 আরও পড়ুন : রাতে ঘুমের মধ্যে বারবার প্রস্রাব পায়? নকচুরিয়া নয় তো? 

বিশেষ দ্রষ্টব্য : এ লেখাতে শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্য কেন বাড়ে বা বাড়লে কী করা যেতে পারে সে সম্পর্কে কেবল প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে, এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ও চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

এনএফ