দীর্ঘ সাত বছর পর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলন শেষে নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেতৃত্বে যে বা যারাই আসুক প্রধানমন্ত্রীর ওপরই আস্থা রাখবেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী যিনিই নেতৃত্বে আসবেন, তিনিই হবেন আমাদের নেতা।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এ প্রতিক্রিয়া জানা যায়।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও স্বাচিপ নেতা ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্বাচিপের নেতৃত্বে যারাই আসবেন, যাকেই প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দেবেন, তার নেতৃত্বেই আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। 

স্বাচিপের একজন কর্মী হিসেবে আজকের সম্মেলনে আমরা সবাই খুবই উচ্ছসিত এবং উৎসাহিত। আমরা মনে করি আমাদের নেতৃত্ব অতীতে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যখাতের যেসব কর্মসূচি আছে, যেগুলো বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও ঠিক সেভাবে এগিয়ে যেতে পারবো বলে আশা রাখি। দীর্ঘদিন পর আবারও সম্মেলন হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতাকর্মীরা সবসময়ই চাঙ্গা থাকে। বিগত দুই দশক ধরেই আমরা চাঙা আছি। আশা করছি এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আরও চাঙ্গাভাবটা আরেকটু বাড়বে। 

আরেক চিকিৎসক বলেন, সম্মেলন স্বাচিপের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন নেতৃত্ব আসুক বা পুরোনো নেতৃত্বই থাকুক, সম্মেলনটা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন পর সম্মেলনটা হচ্ছে এটি আমাদের জন্য খুবই আনন্দদায়ক বিষয়। আশা করি এই সম্মেলন আমাদের সংগঠনকে আরও গুছিয়ে আনবে।

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা ডা. মাহবুব আলম বলেন, দীর্ঘদিন পর আবারও সম্মেলন হচ্ছে। আমাদের কাছে খুবই ভালো লাগছে। এবার অনেকদিন পর হলেও আমরা চাই প্রতিবছর সম্মেলনটি টাইম-টু-টাইম হোক।

এর আগে সম্মেলন শুরুর দেড় থেকে দুই ঘণ্টা আগেই মিছিল-শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে উপস্থিত হন।

টিআই/জেডএস