স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, রিজার্ভ সংকটের গুজব ছড়িয়ে, সাময়িক বিদ্যুৎ সংকট দেখিয়ে বিএনপি দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। নানাভাবে গুজব সৃষ্টি করে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু বিএনপি ভুলে গেছে, শেখ হাসিনা হিমালয়ের মতো শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে, হিমালয়কে ধাক্কা দিয়ে নড়ানো যায় না, এটি সম্ভব নয়। 

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি সম্মেলন কক্ষে সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ ইন হোমিওপ্যাথি (ক্যাশ) আয়োজিত ৮ম আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞান সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন>>বিএনপি জনগণকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সততার সঙ্গে কাজ করে সাধারণ মানুষের মন জয় করেই ক্ষমতায় আছে। সাধারণ জনগণের ভালোবাসাতেই শেখ হাসিনাকে হিমালয়ের মতো শক্ত করেছে। জনগণের মন থেকে শেখ হাসিনার ভালোবাসা নষ্ট করা বিএনপির পক্ষে সম্ভব নয়।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি দেশের রিজার্ভ শেষ হয়ে গেছে বলে অপপ্রচার করছে, মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, বিএনপির আমলে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার। আর এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী করোনার ধকলের পরও বাংলাদেশের রিজার্ভ রয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলার।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ আসতো। বিএনপির আমলে মাত্র ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। আর এখন শেখ হাসিনার আমলে দেশে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ইউক্রেন-যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও সাময়িক বিদ্যুৎ সমস্যা হয়েছে। তবুও বিএনপির থেকে শতগুণে ভালো আছে বিদ্যুৎ। 

আরও পড়ুন>>মানসিক সমস্যায় ভোগে ১৮ শতাংশ মানুষ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে খাদ্যের ঘাটতি নেই। দেশের ৫০ লাখ টন খাদ্য মজুত করা হয়েছে। দেশে খাদ্য সংকট নেই, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, ডিজিটাল বাংলাদেশের হাজারো তরুণ সমাজ কাজ করে বেকারত্ব হ্রাস করছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ শত শত উন্নয়ন করে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পন্ন অবস্থানে চলে যাচ্ছে। অথচ বিএনপি বাংলাদেশের কোনো ভালো কিছু দেখছে না।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি হোমিও চিকিৎসায় আরও গবেষণা ও বাজেট বৃদ্ধি করার কথা বলেন। দেশের সব হাসপাতালে ক্রমান্বয়ে হোমিও চিকিৎসক নিয়োগ করার কথাও বলেন তিনি। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, হোমিও চিকিৎসায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বিশ্বব্যাপী হোমিও চিকিৎসার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশেও চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি দেশে হোমিও চিকিৎসা আরও জোরালো করা হচ্ছে।

সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ ইন হোমিওপ্যাথির সভাপতি আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলিপ কুমার রায়সহ অন্যান্য ব্যক্তিগণ। 

টিআই/এমএ