বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ দেশের স্বনামখ্যাত ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের সংক্রমণ রোগ বিভাগের গবেষক দলের প্রধান প্রফেসর রবিন শ্যাটক সাভার ও ধামরাইয়ে ইনসেপ্টার ভ্যাক্সিন ও ওষুধ উৎপাদন এবং জীবাণুমুক্তকরণ ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।

পরিদর্শন শেষে রবিন শ্যাটক বলেন, ইনসেপ্টার ব্যবস্থাপনা খুবই প্রসংশনীয়।

ভ্যাক্সিন প্যাকেটিং সরেজমিনে পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির। পরিদর্শন শেষে এমআরএনএ ভ্যাক্সিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর রবিন জন শ্যাটক ইনসেপটার বিভিন্ন ধরনের জীবনরক্ষাকারী নতুন নতুন ভ্যাক্সিন তৈরির সক্ষমতা আরও এগিয়ে নিতে প্রযুক্তি ও গবেষণা সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন।

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির জানান, বিগত দিনে প্রোটিন সাব ইউনিট ভ্যাক্সিন তৈরি করার জন্য ইমপেরিয়াল কলেজের প্রফেসর রবিন জন শ্যাটক ইনসেপ্টাকে সহায়তা দিয়েছেন। এই ধারাবাহিকতায় আগামীতেও তিনি অন্যান্য ভ্যাক্সিন তৈরিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবেন।

আব্দুল মুক্তাদির আরও বলেন, ‘ইনসেপ্টা এখন থেরাপিউটিক ভ্যাকসিন তৈরিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পেরেছে। রেপ্লিকেটিং এবং নন রেপ্লিকেটিং এই দুই ধরনেরই এমআরএনএ ভ্যাক্সিন নিয়ে আমরা এখন যৌথভাবে রিসার্চ করব। ভবিষ্যতে এমআরএনএ এবং থেরাপিউটিক ভ্যাকসিন নিয়েও যত গবেষণা হবে সেখানেও আমরা অংশগ্রহণ করবো।’

তিনি বলেন, প্রফেসর রবিন জন শ্যাটক একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী। উনার সহায়তায় এদেশের সায়েন্টিস্টরা অনেক বেশি প্রশিক্ষিত হবেন এবং নতুন নতুন গবেষণার ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে। ইতোমধ্যেই আমরা দুজন সায়েন্টিস্টকে ইমপেরিয়াল কলেজ থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ে এসেছি। অচিরেই আরও অনেককেই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এতে করে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন মূল উপকরণ (সীড) তৈরির দ্বারও উন্মোচিত হবে। আমরা মনে করি ভ্যাকসিন ও ঔষুধের বিষয়ভিত্তিক গবেষণার ক্ষেত্রে একটি নবযুগের সূচনা তৈরি হলো। এতে করে জনগণের জন্য আরও ভালো সুফল বয়ে আনা সম্ভব হবে।

এমএ