ডিএনসিসি হাসপাতাল
১২ মাস বেতন নেই, এরমধ্যে চাকরিচ্যুতি!
প্রায় এক বছর যাবৎ বেতন না পাওয়ার অভিযোগ ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের। এরমধ্যেই আবার চাকরিচ্যুতির ঘোষণা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় বেতনের দাবিতে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেছেন এ কর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকেলে মহাখালীতে হাসপাতালের সামনে সড়কে বিক্ষোভ করে প্রায় শ খানেক স্বাস্থ্যকর্মী। এ সময় তাদের কেউ কেউ পিপিই-গাউন পরে সড়কে শুয়েও পড়েন। পরে ট্রাফিক বিভাগ ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ ঘণ্টা খানেক আলোচনার পর বিকেল সাড়ে ৫টায় আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে তুলে দেয়।
বিজ্ঞাপন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আন্দোলনকারী বলেন, কোভিড মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালে তিনি ওয়ার্ড বয় হিসাবে চার মাসের চুক্তিতে এই হাসপাতালে যোগ দেন। পরে কয়েক দফায় তাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু মহামারীর প্রকোপ কমে যাওয়ার পর গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তাদের বেতন বন্ধ। এরমধ্যে মঙ্গলবার সকালে তাদের সবাইকে ডেকে বলে দেওয়া হয়েছে যে তাদের চাকরি আর নেই।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে ডিএনসিসি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শফিকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, তাদের সাথে সকালেও আমার মিটিং হয়েছে, তাদের বলে দিয়েছি এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা বেতন পেয়ে যাবে। তারপরও কেন তারা সড়ক অবরোধ করবে আমার জানা নেই। তারা আমার হাসপাতালের রেগুলোর এমপ্লয়ি নয়, তারা আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া। তাছাড়া তাদের নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিধদপ্তর, সুতরাং বেতনের বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরই দেখবে।
তিনি বলেন, পরিচালক হিসেবে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ রাখছি। কোভিডকালী তারা নিযোগ পেয়েছিল, এখন তো কোভিড নেই। তাদের সাথে চুক্তিই ছিল যতোদিন কাজ থাকবে ততদিন তারা বেতন পাবে, এখন তো তাদের কোনো কাজ নেই। তারপরও এটা নিয়ে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কথা বলেছি। তারা কিছুদিনের মধ্যেই তাদের পাওনা পেয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে সেখানে প্রথমে গড়ে তোলা হয় এক হাজার শয্যার আইসোলেশন সেন্টার, পরে চিকিৎসাও দেওয়া হয় সেখানে। গত বছর ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবাও দেওয়া হচ্ছিল এই হাসপাতালে।
টিআই/এনএফ