দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আগামী দিনে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ বড় অবদান রাখবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ঔষুধ শিল্প সমিতি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে শুরু হওয়া তিনদিন ব্যাপী ১৪তম এশিয়া ফার্মা এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পাপন বলেন, এবারের ১৪তম এশিয়া ফার্মা এক্সপো আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট প্রভাব রাখবে। একইসঙ্গে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল আমদানি এবং ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে আরও বড় ধরনের সুযোগ তৈরি করে দেবে।

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে ওষুধ শিল্প সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির বলেন, আমেরিকা এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে ফার্মা সেক্টরে এক ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশেও নানান ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আমরা। তবে, সব পেরিয়ে আমাদের সম্ভাবনাময় ওষুধ শিল্পের অগ্রগতি অনেক ভালো। সামনে আমাদের ওষুধ রপ্তানি আরও বাড়বে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, ফার্মাসিউটিক্যালস এক্সপোর্ট প্রোমোশনাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর জেনারেল রবি উদয় ভাস্কর। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান।

এবারের আয়োজনে আমেরিকা, চীন, ইংল্যান্ড, জার্মানি, মালেয়েশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, ইতালি, জাপান, সুইজারল্যান্ড, তাইওয়ান, আয়ারল্যান্ড, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর মোট ২৭টি দেশের ৬৪৫টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। এই আয়োজনে রয়েছে ফার্মা প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, বায়োটেক ল্যাব ইকুইপমেন্ট, এপিআই ম্যানুফেকচারিং প্লান্টস এবং মেশিনারিজ, ফার্মা ফর্মুলেশন্স এবং কন্ট্রাক্ট ম্যানুফেকচারিং। এতে করে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা ওষুধ শিল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রাপাতি ও যন্ত্রাংশ এবং কাঁচামাল সম্পর্কে বিশদ জানতে পারবে।

তিনদিনব্যাপী ‘এশিয়া ফার্মা এক্সপো’ শেষ হবে আগামী ৪ মার্চ। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এক্সপো খোলা থাকবে। 

এখন বাংলাদেশে বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে এবং দেশের মোট অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে বর্তমানে বিশ্বের ১৫৩টি দেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত মানসম্মত ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।

টিআই/এসএম