দেশে বর্তমানে ১০ লাখেরও অধিক মানুষ লুপাস বা এসএমই (সিস্টেমিক লুপাস ইরাথেমেটাস) রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকদের মতে, লুপাস হলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরের বিভিন্ন কোষের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করে। ফলে দেহের ত্বক, গিরা, মাংসপেশি, রক্তকণিকা, স্নায়ু, হৃৎপিণ্ড ও কিডনিসহ প্রায় সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে।

মঙ্গলবার (৯ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রিউমাটোলজি বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব লুপাস দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে ক্যান্সার রোগেরও উন্নত চিকিৎসাসেবা রয়েছে। ক্যান্সার হলে আছে আনসার। তবে, সিস্টেমিক লুপাস ইরাথেমেটাস এমন একটি জটিল রোগ যা শরীরের যেকোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গে হতে পারে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকার্যকর করে দিতে পারে। তবে এ ধরনের রোগের উন্নত চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগ থেকে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ক্যান্সার, লুপাসসহ বিভিন্ন জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসা সেবা এখন দেশেই রয়েছে। তাই রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ রিউমাটোলজি সোসাইটির উদ্যোগে রিউমেটিক বা বাতরোগে আক্রান্তদের ওপর সারা দেশে এ পর্যন্ত তিনটি জরিপ করা হয়েছে। ওই জরিপেও আক্রান্তদের সঠিক সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি। তবে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দেশে আট থেকে থেকে ১০ লাখ মানুষ বাতরোগে আক্রান্ত।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ জাফর খালেদ, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ, অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মো. আবু শাহীন, কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শওকত কবীর, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শীষ রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মঈনুল হক প্রমুখ।

টিআই/ওএফ